পরিবেশবান্ধব আতশবাজী বানানোর লাইসেন্স নিতে হবে ব্যবসায়ীদের। প্রতীকী ছবি
পরিবেশবান্ধব আতশবাজির লাইসেন্স দেওয়া নিয়ে এ বার দ্বন্দ্ব তৈরি হল সরকার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে। শুক্রবার বিধাননগরের পরিবেশ ভবনে এক বৈঠক হয়। এই বৈঠকে হাজির ছিলেন পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তাদের পাশাপাশি জাতীয় পরিবেশ গবেষণা সংস্থা (এনইআরআই), আতশবাজি উন্নয়ন সমিতি ও উৎসব সমিতির প্রতিনিধিরা। সেই বৈঠকেই পরিবেশবান্ধব আতশবাজির লাইসেন্স দেওয়া নিয়ে মতপার্থক্য ঘটে আতশবাজি ব্যবসায়ী ও কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থা এনইআরআই-এর কর্তাদের।
বৈঠকে এনইআরআই কর্তারা বাজি ব্যবসায়ীদের পরিবেশবান্ধব আতশবাজি তৈরির লাইসেন্স পেতে অনলাইনে আবেদন করতে বলেন। কিন্তু পাল্টা ব্যবসায়ীরা প্রশ্ন তোলেন, আতশবাজি সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্ট আগামী ২৪ জুলাই রায় দেবে। সেই রায়ের ভিত্তিতেই আগামী দিনে আতশবাজি তৈরি হবে। তার আগে লাইসেন্স নিয়ে আতশবাজি তৈরি করা আর্থিক ভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। সেই রায়ের পর ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হলে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেবে কে?
এমন প্রশ্ন তোলায় বৈঠকে মতপার্থক্যের পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে এনইআরআই-এর কর্তারা, আতশবাজি ব্যবসায়ীদের জেলাভিত্তিক ভাবে অনলাইনে আবেদন করার কথা বলেছেন। সূত্রের খবর, বৈঠকে তাঁদের এখনই ব্যবসায় সে ভাবে বিনিয়োগ না করে বরং শীর্ষ আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা করার পরমার্শ দেওয়া হয়েছে। আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির নেতা বাবলা রায় বলেন, "আমাদের আগের লাইসেন্সগুলিকেই পরিবেশবান্ধব লাইসেন্সে বদল করে দেওয়া হবে। কিন্তু অবাক করা বিষয় এই যে, নতুন করে আর কাউকে এই লাইসেন্স দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। এই শিল্পে যদি লাইসেন্স না দেওয়া হয়, তা হলে আগামী দিনে নতুন করে ব্যবসায়ীরা আতশবাজির ব্যবসায় আসবেন কী করে?’’