২০২১ সালে অছি পরিষদের নির্বাচন করতে চেয়ে আদালতে আসেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। ফাইল চিত্র।
দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অছি পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। সেবাইতদের একাংশের অভিযোগ, নিয়ম মেনে নির্বাচন হচ্ছে না অছি পরিষদের। ফলে অনেক বেআইনি কাজকর্ম চলছে পরিষদকে ঘিরে। মন্দির তহবিলের টাকাও নয়ছয় করার অভিযোগ করেছেন তাঁরা। এই সেবাইতদের একাংশের নিশানায় অছি পরিষদের বর্তমান সম্পাদক কুশল চৌধুরী। যদিও কুশল এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।
মন্দিরের সেবাইতদের একাংশের দাবি, ১৮৭২ সালে রানি রাসমণি একটি অর্পণনাম তৈরি করেন তাঁর আট নাতির জন্য। বলা হয়, এই আট নাতির উত্তরসূরিরাই সেবাইত হবেন এবং তাঁরা দক্ষিণেশ্বরের দায়িত্ব পাবেন। এই বিষয়টি নিয়ে তখন রাসমণির বড় নাতি বলরাম দাস উচ্চ আদালতে মামলা করেন। তিনি আবেদন করেন, আগামিদিনে বিষয়টি নিয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে। সে জন্য একটি স্কিম তৈরি করা হোক। পরে ১৯২৯ সালে ওই মামলার ভিত্তিতে আদালত মন্দিরের সেবাইত কারা হবেন তাঁদের পরিচয় নিয়ে ভোটদান চালু হয়। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে আশুতোষ দাস নামে এক সেবাইত অছি পরিষদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তোলেন। তখন আদালত তিন বছর অন্তর ভোট করানোর নির্দেশ দেয়। এখন মামলাকারীদের অভিযোগ, ওই নিয়ম ঠিক মতো মানা হলে এখনকার সম্পাদক কুশল কী ভাবে ৫০ বছর ওই পদে থাকেন?
২০২১ সালে অছি পরিষদের নির্বাচন করতে চেয়ে আদালতে আসেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। গত বছর ভোটার তালিকা তৈরির জন্য বিশেষ অফিসার হিসাবে প্রাক্তন বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যকে নিয়োগ করে হাই কোর্ট। অভিযোগ, বিশেষ অফিসারকেও ভোটার তালিকা দেওয়া হয়নি। এখন সেই তালিকা চেয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ সেবাইতদের একাংশ। আর পুরো বিষয়ে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে কুশলকে।
যদিও এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই বলে দাবি করেন কুশল। তিনি বলেন, ‘‘মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। হাই কোর্টের নির্দেশেই তিন বছর অন্তর ভোট হয়। প্রাক্তন বিচারপতি এই ভোটে নজর রাখেন।’’