ফাইল চিত্র
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও ‘ফ্রন্টলাইন ওয়ারিয়র’ বা অগ্রবর্তী যোদ্ধার মৃত্যু হলে কিংবা আক্রান্ত হলে তাঁর পরিবার বা তিনি আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাবেন। অতিমারি মোকাবিলায় এমনই নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, একটি পরিবারের এক জন সদস্যই শুধু ওই ক্ষতিপূরণ পাবেন।
২০২০ সালে অতিমারি শুরুর সময়েই রাজ্য জানিয়েছিল, সামনের সারির যোদ্ধারা কোভিডে মারা গেলে ১০ লক্ষ টাকা এবং আক্রান্ত হলে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কোভিডে অগ্রবর্তী যোদ্ধাদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। কত জন ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন, রাজ্য সরকারের কাছে তার সবিস্তার তথ্য জানতে চায় হাই কোর্ট। রাজ্যের তরফে আদালতকে জানানো হয়, অগ্রবর্তী যোদ্ধাদের মধ্যে কোভিডে মারা গিয়েছেন, এমন ১৮০ জন এবং ৩০,৮৯৩ জন আক্রান্তের পরিবারের তরফে ক্ষতিপূরণের আবেদন জমা পড়েছে। সেই তথ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল।
রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল, মোট আবেদনকারীদের মধ্যে ১০১ জন মৃতের পরিবারকে এবং ৯১৯০ জন আক্রান্তকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের অন্দরের পর্যবেক্ষণ, বহু পরিবারেই একাধিক অগ্রহর্তী যোদ্ধা রয়েছেন। দেখা যাচ্ছে, একই পরিবারের দুই বা তিন জন সেই ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেছেন। যেমন, একটি পরিবারের স্বামী পুলিশে চাকরি করেন, স্ত্রী স্বাস্থ্যকর্মী। দু’জনেই হয়তো করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। দু’জনেই এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেছিলেন। প্রশাসনিক আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্য দফতরের এ দিনের নির্দেশিকা অনুযায়ী আর সেটি হবে না। এ বার পরিবারের যে-কোনও এক জন সেই ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবেন।