Calcutta High Court

বালুকে কম্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে গেল ইডি! অব্যাহতি চেয়ে একই দিনে হাই কোর্টে কর্তৃপক্ষ

কম্যান্ড হাসপাতালের বক্তব্য, সেখানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা করা হয়। সাধারণ নাগরিকেরা এলে বাড়তি চাপ পড়ে। তাই বাইরের কাউকে ভর্তি না করানোর আবেদন জানানো হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:২২
Share:

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং কম্যান্ড হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।

সেনাবাহিনীর বাইরে কোনও সাধারণ নাগরিকের চিকিৎসা করতে চায় না কম্যান্ড হাসপাতাল। সেই আর্জি নিয়ে এ বার তারা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আবেদন, সেনার সঙ্গে যুক্ত নন, এমন কোনও নাগরিককে যেন সেখানে চিকিৎসার জন্য না পাঠানো হয়। উচ্চ আদালতে এই মর্মে মামলা করেছেন কম্যান্ড কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

কম্যান্ড হাসপাতালের তরফে আইনজীবী অনামিকা পাণ্ডে বলেন, ‘‘কম্যান্ড হাসপাতাল সেনার চিকিৎসার জন্য। সেখানে সাধারণ নাগরিকদের যাতে ভর্তি করানো না হয়, সেই আবেদনে মামলা করা হয়েছে। এই হাসপাতালে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাই চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে থাকেন। বাইরের রোগী এলে কর্তৃপক্ষের উপর বাড়তি চাপ পড়ে। তাই চিকিৎসায় সমস্যা হয়। সেই কারণেই এই মামলাটি করা হল।’’

রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে ধৃত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিকিৎসা কম্যান্ড হাসপাতালে করানোর নির্দেশ দিয়েছিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। বিচারক ইডিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, জ্যোতিপ্রিয়ের শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে এবং তদন্তকারী আধিকারিক চাইলে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে কম্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো যেতে পারে। এখানেই আপত্তি করেন কম্যান্ড কর্তৃপক্ষ। তাঁরা মন্ত্রীর চিকিৎসা করতে না চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

Advertisement

নিম্ন আদালতেও একই যুক্তি দিয়েছিল কম্যান্ড হাসপাতাল। দু’বার আদালতের দ্বারস্থ হয়ে তারা জানিয়েছিল, এই মুহূর্তে প্রচুর রোগী তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাই বাড়তি চাপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু নিম্ন আদালতে এই সমস্যার সুরাহা হয়নি। বরং কম্যান্ডের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। তার পরেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

অন্য দিকে, নিম্ন আদালতের নির্দেশ মেনে বুধবার জ্যোতিপ্রিয়কে কম্যান্ড হাসপাতালেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে গিয়েছিল ইডি। সকাল ১১টা নাগাদ ওই হাসপাতালে ঢুকেছিলেন মন্ত্রী। তাঁকে বার করা হয় বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ। অর্থাৎ, বুধবার প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা কম্যান্ডে জ্যোতিপ্রিয়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলেছে। সেখান থেকে ফের সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছে মন্ত্রীকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement