ব্যবসায়ীর এই গাড়ি লক্ষ্য করেই গুলিচালনার ঘটনা ঘটে। — নিজস্ব চিত্র।
সোমবার দুপুরে আসানসোলে ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলিচালনার ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে গুলি চালানো-সহ একাধিক ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে এই ঘটনায় যুক্ত বাকিদের খোঁজ করতে চাইছে পুলিশ। আদালত ধৃতদের দশ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
সোমবার দুপুরে আসানসোল উত্তর থানার বাবা চন্দ্রচূড় মন্দির এলাকায় ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে গাড়িতে যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী দীনেশ গড়াই। অভিযোগ, তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় মোটরবাইকে আসা এক দল দুষ্কৃতী। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় অল্পের জন্যে প্রাণে বাঁচেন ব্যবসায়ী। দীনেশের দাবি, একটি গুলি তাঁর গাড়িতে লাগে। দূষ্কৃতীরা কমপক্ষে তিন-চার রাউন্ড গুলি চালায় বলেও দাবি করেন তিনি। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম অভিষেক মুখোপাধ্যায় ওরফে পাপাই, টিঙ্কুকুমার প্রসাদ, পঙ্কজকুমার সিংহ এবং কূলদীপ কুমার ওরফে কাল্লু। ধৃতেরা সকলেই কয়লার কারবারি জয়দেব মণ্ডলের লোক বলে জানা গিয়েছে।
একটি সূত্রের দাবি, জয়দেব এবং দীনেশ— দু’জনেই কয়লা এবং জমি কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত। ব্যবসায়িক কারণে দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক ভাল না। সেই কারণেই জয়দেবের লোকজন দীনেশের উপর হামলা করল কি না তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। অনেকেই এমনটা মনে করছেন। সোমবারেই গুলিচালনার খবর পেয়ে অকুস্থলে পৌঁছে স্থানীয় কাউন্সিলর তথা আসানসোলের যুব তৃণমূল নেতা অর্জুন মাজি অভিযোগ করেছিলেন, এলাকায় জোর করে জমি দখল করে নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেছিলেন, ‘‘মনে হচ্ছে, জমি দখলের সঙ্গে গুলি চালানোর ঘটনার যোগ রয়েছে।’’ জমি মাফিয়ারাই গুলি চালিয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। ডিসি সেন্ট্রাল কূলদীপ সোনেওয়ানও জানিয়েছিলেন, জমি সংক্রান্ত বিবাদেই গুলি চলে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত চার জনের বিরুদ্ধে গুলিচালনার ধারা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে। ডিসি সেন্ট্রাল কূলদীপ জানিয়েছেন, ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা চালানো হবে। যাতে হেফাজতে নিয়ে তাঁদের জেরা করে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বাকিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।