কয়লা পাচার মামলায় ধৃত দুই ‘প্রভাবশালী’ কর্তাকে জামিন দিলে তদন্ত ব্যাহত হবে বলে দাবি সিবিআইয়ের। প্রতীকী ছবি।
কয়লা পাচার মামলায় জামিন হল না সিবিআইয়ের নজরে থাকা দুই ‘প্রভাবশালী’র। এই মামলায় ধৃত ইসিএলের প্রাক্তন ডিরেক্টর এবং সিআইএসএফের ইনস্পেক্টরকে মঙ্গলবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত।
আসানসোলে এই মামলায় ৪ দিনের সিবিআই হেফাজত শেষ হয়েছে ইসিএলের প্রাক্তন ডিরেক্টর টেকনিক্যাল (অপারেশনস) তথা ভারপ্রাপ্ত প্রাক্তন সিএমডি, চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনীল কুমার ঝা এবং সিআইএসএফের ইনস্পেক্টর আনন্দকুমার সিংহের। মঙ্গলবার তাঁদের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির করানো হয়। তাঁদের যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়ার আবেদন করেন দু’জনের আইনজীবী শেখর কুণ্ডু। ধৃতদের জামিনের বিরোধিতা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমার। জামিনের বিরোধিতায় সিবিআইয়ের ‘প্রভাবশালী তত্ত্ব’-এর যুক্তি তুলে তিনি বলেন, ‘‘এই মামলায় তদন্ত এখনও বাকি রয়েছে। এই মামলায় নানা নতুন তথ্য উঠে আসছে। সে সব কিছু পরীক্ষা ও যাচাই করা দরকার। এ ক্ষেত্রে এই দু’জনের জামিন দেওয়া হলে তদন্ত ব্যাহত হবে। তাই তাঁদের জামিন নাকচ করে জেল হেফাজত পাঠানো হোক।’’ যদিও সিবিআইয়ের তরফে এই দু’জনকে জেলে গিয়ে জেরার আবেদন করা হয়নি। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ধৃতদের ১৪ দিন হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী।
১১ মে, বৃহস্পতিবার নোটিস দিয়ে এই দুই ‘প্রভাবশালী’ কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কলকাতার নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠায় সিবিআই। ‘তদন্তের স্বার্থে’ সে রাতেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর। পরের দিন তাঁদের আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজির করানো হলে ৪ দিনের হেফাজতের আবেদন করে সিবিআই। তার মেয়াদ শেষে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করানো হয়েছিল ধৃতদের। তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশে দিয়ে বিচারক জানিয়েছেন, এই মামলার পরবর্তী শুনানি চলতি মাসের ২৯ তারিখ হবে।