তিন দিনের ওড়িশা সফরে মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক থেকে।
পুরীতে গিয়ে বাঙালির হোটেল না পাওয়ার ভোগান্তি কমাতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন দিনের ওড়িশা সফরের দ্বিতীয় দিনেই ‘বাংলা নিবাস’ তৈরির জন্য জমি পছন্দ করলেন তিনি। তবে কতটা জমি এবং তাতে কত বড় বাংলা নিবাস বানানো হবে সে ব্যাপারে সবিস্তার কিছু বলেননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার আগে ওই জমি দেখেন। এর পরে ভাঙা ভাঙা ওড়িয়ায় বলেন, ‘‘খুশি আছন্তি। জমি দেখুন্তি। কাল নবীনজিকে সাথ মিলুন্তি।’’ বৃহস্পতিবারই ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে মমতার।
মঙ্গলবার দুপুরে ওড়িশা গিয়েছেন মমতা। ওড়িশা সরকার নিউ পুরী এলাকায় বিভিন্ন রাজ্যের নিবাস বানানোর জন্য জমি লিজ দিচ্ছে। তার মধ্যে বাংলার জন্যও জমি রয়েছে। বুধবার সেই জমিই দেখতে যান মমতা। সেখানে গিয়ে ওড়িশা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯৯ বছরের লিজ়ে জমি দেবে ওড়িশা সরকার। তবে কতটা জমি তা, এখনও চুড়ান্ত হয়নি। মমতা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে সবিস্তার কথা হবে। তিনি বলেন, ‘‘কাল (বৃহস্পতিবার) সৌজন্য বৈঠক। উন্নয়ন বৈঠক। বাংলা নিবাস নিয়েও আলোচনা হবে।’’ তবে বিজেপি ও কংগ্রেসবিরোধী জোট নিয়ে নবীনের সঙ্গে কোনও কথা হবে কি না সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মমতা।
পুরী বাঙালির অন্যতম প্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। সারা বছর পুরী ছাড়াও ওড়িশার বিভিন্ন জায়গায় বাংলার পর্যটকেরা যান। এ নিয়ে মমতা বলেন, ‘‘বাংলার মানুষ ওড়িশাকে ফার্স্ট হোম, সুইট হোম মনে করে। বছরে পাঁচ বার আসেন অনেকে। রথ, উল্টোরথ, স্নানযাত্রা ছাড়াও ছুটিতে আসেন। অনেকেই হোটেল পান না। সেই কারণেই এখানে রাজ্যের নিবাস হওয়া জরুরি।’’ বৃহস্পতিবার জমি দেখার পরে তা যে নিজের পছন্দ হয়েছে তা-ও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘জায়গা পছন্দ হয়েছে। ভাল স্পট।’’ নবীনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘‘আমি ধন্যবাদ জানাব যে উনি ভেবেছেন। কাল উনি সিদ্ধান্ত নেবেন কত একর জমি বাংলা পাবে।’’ জমি পাওয়ার পরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ শুরু করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। কত মানুষের থাকার জায়গা হবে ওই নিবাসে? জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘নিউ পুরী আমরা শুরু করব ভবন বানিয়ে। সয়েল টেস্ট হয়ে গেলেই কাজ শুরু হবে। নকশা ভাল করতে হবে। বেশি টাকা নেই। তবে কম টাকায় ভাল কিছু বানাতে চাই। বিল্ডিং প্ল্যান অনুযায়ী ঠিক হবে কত মানুষ থাকতে পারবেন।’’