মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।
নদিয়ায় প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে কর্মসংস্থানে জোর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি জেলার পুরসভাগুলিকে আরও ভাল করে কাজ করার নির্দেশ। মুখ্যমন্ত্রী জানান, কয়েক মাসের মধ্যেই পুর নির্বাচন করাবে সরকার। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী হওয়ায় নদিয়া জেলায় পুলিশকে বিএসএফ-এর সঙ্গে আরও ভাল সমন্বয় বজায় রেখে গোলমাল এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন মমতা। পাশাপাশি বলেন, ‘‘যা খুশি তাই চাইলেই হবে না। রাজ্য জুড়ে প্রচুর কাজ চলছে। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। সরকারের আর টাকা নেই।’’
আমাদের লক্ষ্য কর্মসংস্থান বাড়ানো। নদিয়ার কৃষ্ণনগর রবীন্দ্র ভবনে প্রশাসনিক বৈঠকে স্পষ্ট জানান মুখ্যমন্ত্রী। এ জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেন সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিকদের। এ দিন প্রশাসনিক বৈঠকে করোনা নিয়েও সতর্কতা বজায় রাখার কথা বলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘ওমিক্রন ছড়াচ্ছে। করোনার তৃতীয় ঢেউ যদি আসে, তা হলে রুখতে কি আমরা তৈরি?’’ জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানান, অতিরিক্ত শয্যা ইতিমধ্যেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিএসএফ-এর নয়া নির্দেশিকা ঘিরে চাপানউতোর এ দিন ফের উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। তিনি বলেন, ‘‘নদিয়া জেলা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী। বিএসএফ যাতে অনুমতি ছাড়া গ্রামে ঢুকে কোনও ঝামেলায় জড়িয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে হবে। বিএসএফ তাদের কাজ করবে, পুলিশ তাদের কাজ করবে। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারে।’’
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, নদিয়া জেলার বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে একটি করে শিল্প পার্ক তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আগের বিধি বদলে ৫ একর জমিতে শিল্প পার্ক তৈরি করার ছাড়পত্র দেবে। এই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘বিধানসভা কেন্দ্র ধরে ধরে একটি করে শিল্প পার্ক আমরা করতে পারি।’’ মমতা আরও বলেন, ‘‘যেখানে আমাদের লোকেরা আছেন তাঁরা সমস্ত সহায়তা করবেন।’’
রাজ্য সরকারের প্রকল্প এবং পরিষেবা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবহিত করতে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে খোলা হয়েছে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র (বিএসকে)। সেই কেন্দ্রগুলি ঠিক মতো চলছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য এলাকার বিডিও এবং পুলিশ আধিকারিকদের বাড়তি উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী।