পশ্চিমবঙ্গ সরকারও ইউক্রেন ফেরত ওই পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন মমতা। জানিয়েছেন, রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে তাঁদের ইন্টার্নশিপের সুযোগ দিতে চান তিনি। এ বিষয়ে সর্বভারতীয় নিয়ামক সংস্থা ‘ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন’ যাতে প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেয়, সে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।
গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
ইউক্রেনে যুদ্ধের আবহে আটকে পড়া ভারতীয় মেডিক্যাল পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে উদ্যোগের জন্য প্রথম থেকেই কেন্দ্রের উপরে চাপ তৈরি করেছে তৃণমূল। এ বার তাঁদের ‘ভবিষ্যতের’ বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মোদীকে পাঠানো চিঠিতে ইউক্রেন থেকে ফিরে আসা ডাক্তারি পড়ুয়াদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মমতা। লিখেছেন, ‘এখনও পর্যন্ত ইউক্রেন থেকে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৩৯১ জন মেডিক্যাল পড়ুয়া ফিরে এসেছেন। তাঁরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে প্রচণ্ড মানসিক উদ্বেগে রয়েছেন।’’
পশ্চিমবঙ্গ সরকারও ইউক্রেন ফেরত ওই পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন মমতা। জানিয়েছেন, রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে তাঁদের ইন্টার্নশিপের সুযোগ দিতে চান তিনি। দিতে চান সরকারি নিয়ম মেনে মাসিক ভাতাও। এ বিষয়ে সর্বভারতীয় নিয়ামক সংস্থা ‘ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন’ যাতে প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেয়, সে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরেই ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী জানান, একে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। পাশাপাশি পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ বাঁচাতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কথাও ঘোষণা করেন মমতা। জানান, ইউক্রেনে যে পড়ুয়ারা মেডিক্যালের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পড়া মাঝপথে থামিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তাঁদের জন্য অফলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করতে পারে সরকার। প্রথম বর্ষের কেউ নতুন করে শুরু করতে চাইলে বিশেষ ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের মমতা আশ্বাস দেন, কারও যাতে বছর নষ্ট না হয়, তা দেখা হবে। তিনি বলেন, ‘‘বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে এক তৃতীয়াংশ কোটা থাকে রাজ্যের হাতে। সেই কোটায় ইউক্রেন ফেরতদের ভর্তি করা হবে। তবে এ জন্য পড়ুয়াদের বাড়তি কোনও টাকা দিতে হবে না। যে অতিরিক্ত খরচ হবে, তা রাজ্য সরকার ও মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ অর্ধেক অর্ধেক করে দিয়ে দেবে। সে ক্ষেত্রে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ার খরচেই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে পাঠ শেষ করতে পারবেন পড়ুয়ারা।’’