পাক সেনার মেজর জেনারেল বাবর ইফতিকার দিন কয়েক আগে বলেছিলেন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটির গতিপথ ‘ট্র্যাক’ করে তাঁরা দেখেছেন, সেটি হরিয়ানার সিরসা থেকে এসেছিল। ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার সংসদে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, ‘‘অসতর্কতাবশত ঘটে যাওয়া ওই ঘটনাটি সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।’’
প্রতীকী ছবি। ফাইল চিত্র।
ভারতীয় সেনার ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাকিস্তানের মাটিতে আছড়ে পড়ার পরেই প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতি শুরু করেছিল ইসলামাবাদ। ভারতের তরফে ‘ভুলের কথা’ জানাতে আর কিছুক্ষণ দেরি হলেই ধেরে আসতে পারত পাক সেনার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র। আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের একটি রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে।
প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বুধবার (৯ মার্চ) হরিয়ানার অম্বালায় ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে রক্ষাণাবেক্ষণ এবং রুটিন মহড়ার সময় হঠাৎই ভুল করে রাশিয়ায় সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মস উৎক্ষেপণ হয়ে গিয়েছিল। সেটি আছড়ে পড়ে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের মিলন চানু শহরে। এর পরেই জবাবি হামলার প্রস্তুতি শুরু করে পাক ফৌজ।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছেন, ওই ঘটনার মিলন চানু এলাকার কয়েকটি ঘরবাড়ির ক্ষতি হলেও কোনও প্রাণহানি হয়নি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই ঘটনার পরেই অম্বালার ফের দুর্ঘটনা এড়াতে অম্বালার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
ভারতের তরফে প্রথমে দু’দেশের সেনা কমান্ডার স্তরের হটলাইন ব্যবহার করে পাকিস্তানকে দুর্ঘটনার কথা জানানো হয়নি বলেও দাবি করা হয়েছে ব্লুমবার্গের রিপোর্টে। সে কারণে পাক সেনার তরফে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হানার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ভারতের বার্তা পেয়ে নিরস্ত হয় পাক বাহিনী।
পাক সেনার মেজর জেনারেল বাবর ইফতিকার দিন কয়েক আগে বলেছিলেন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটির গতিপথ ‘ট্র্যাক’ করে তাঁরা দেখেছেন, সেটি হরিয়ানার সিরসা থেকে এসেছিল। ভারতীয় সেনার ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাকিস্তানের মাটিতে আছড়ে পড়ার ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার সংসদে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, ‘‘অসতর্কতাবশত ঘটে যাওয়া ওই ঘটনাটি সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’