করোনা ও আমপান যোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিকদের ১০ নগদ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যের দাবিও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ-সহ করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘূর্ণিঝড় আমপানের পর পুনর্গঠনের কাজে যাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, তাঁদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। তবে একই সঙ্গে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি রুখতে রাজ্যবাসীকে সাবধানও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্য দিকে, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্রের কাছে ফের ১০ হাজার টাকা করে সাহায্যের আর্জিও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনার সংক্রমণ ছিলই। তার উপর আছড়ে পড়েছিল ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আমপান। ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলা করে প্রায় স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানো গিয়েছে। যদিও করোনা ভাইরাসের প্রকোপ নিয়ে এখনও উদ্বেগ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘বাংলার ঐতিহ্য ও অদম্য স্পিরিট নিয়ে আমরা প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও বিশ্ব অতিমারির মোকাবিলা করেছি। এর থেকে শিক্ষা নিয়ে নিশ্চিত ভাবেই বাংলা আরও শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ হবে।’’
দুই বিপর্যয়ে যাঁরা সামনে থেকে লড়াই করেছেন এবং এখনও করছেন, তাঁদের ধন্যাবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘ত্রাণকর্মী, পুলিশ, স্বাস্থ্যক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সবাই, সুশীল সমাজ ও সমাজসেবী সংগঠন— সবাইকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।’’ আমপান চলে গেলেও করোনার বিপদ এখনও রয়েছে। তাই তাঁর সতর্কবার্তা, ‘‘তবে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সমাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন এবং পুষ্টির দিকে নজর দিন।’’
আরও পড়ুন: ‘এত নির্লজ্জ ভাবে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হল দেহ!’ ফের তোপ রাজ্যপালের
কী কী করতে হবে, এবং কোন কাজগুলো করা যাবে না, সেই সব ফের এক বার রাজ্যবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, ‘‘অতিরিক্ত ভিড় বাসে উঠবেন না। বেসরকারি সংস্থাগুলি যতটা সম্ভব বাড়ি থেকে কাজ চালানোর চেষ্টা করুন। অফিসে হাজিরার সময়ের ক্ষেত্রে ছাড় দিন। আমরা সরকারি অফিসে কাউকে লেট মার্ক না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবেন না এবং সবাই মাস্ক পরুন। নিরাপদ থাকুন।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ১০৯৫৬, মোট আক্রান্তে ব্রিটেনকে টপকে বিশ্বে চতুর্থ ভারত
‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পে ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। কিন্তু তার মধ্যে কারোকে নগদ কোনও অর্থসাহায্যের বন্দোবস্ত হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের কাছে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ১০ হাজার টাকা করে নগদ অর্থসাহায্যের দাবি করেছিলেন। শুক্রবারের পর পর টুইটের মধ্যে এই সাহায্যের আর্জি ফের একবার তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। লিখেছেন, ‘‘অতিমারির কারণে সাধারণ মানুষ বিরাট আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন। পরিযায়ী এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমকিদের নগদ ১০ হাজার টাকা করে এককালীন সাহায্যের আর্জি জানাচ্ছি কেন্দ্রের কাছে। এর জন্য ‘পিএম কেয়ার্স’-এর একটা অংশ ব্যবহার করা যেতে পারে।’’