করিম বলেন, ‘‘আমার ইসলামপুর সাবডিভিশনকে জেলা করে দিন। আমার আর কোনও দাবি নেই।’’ ফাইল ছবি।
উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জে প্রশাসনিক বৈঠকে পৃথক জেলা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেলেন ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যদি বিধায়করা ভাবেন এই সব চিপ (সস্তা) কথা বলবেন, তা হলে বিধায়কদের আর বলতেই দেব না।
মঙ্গলবার উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রশাসনিক বৈঠক বসেছিল রায়গঞ্জে। সেখানেই জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে পরিস্থিতি শুনছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ভাবেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর পালা আসে। বর্ষীয়ান বিধায়ক মাইক ধরে টানা বলতে থাকেন। তখন মমতা তাঁকে থামান। বলেন, ‘‘যা বলার তা এক সেকেন্ডে বলুন। এক মিনিটের মধ্যে শেষ করুন। এত ভাষণ শোনার সময় নেই।’’ বক্তব্যের বাকি অংশ দ্রুত বলতে গিয়ে আব্দুল করিম বলেন, ‘‘আমার ইসলামপুর সাবডিভিশনকে জেলা করে দিন। আমার আর কোনও দাবি নেই।’’
বিধায়কের দাবি শুনে দৃশ্যত ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এরকম দাবি বৈঠকে করা উচিত নয়। এ ভাবে হয় না। এসব চিপ (সস্তা) কথা বলবেন না।’’ এর পর মমতা বলেন, ‘‘ইসলামপুরকে মহকুমা করে দেওয়া হয়েছে। নতুন পুলিশ জেলা করে দেওয়া হয়েছে। আধিকারিক কোথা থেকে পাবেন? আধিকারিক ছাড়া কী করে চালাবেন?’’ তার পর আব্দুল করিমকে উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘‘আপনি সুন্দরবন দেখেছেন কত বড়? আপনার কী অসুবিধা আছে রায়গঞ্জ থেকে ইসলামপুর যেতে? এখন জিতে গেছেন, ভাল করে কাজ করুন। এখন ওসব হবে না।’’
গোটা ঘটনায় দৃশ্যতই অসন্তুষ্ট মমতা তার পরই বলেন, ‘‘এ রকম চললে আমি বিধায়কদের আর বলতে দেব না। বিধায়করা যদি মনে করেন, এরকম ‘চিপ’ (সস্তা) কথা বলবেন, তাহলে আমি বলতে অনুমতি দেব না। কারণ সবকিছুই করে দেওয়া হয়েছে। যদি দাবির সত্যতা থাকে, তা হলেই একমাত্র করা হবে। এ বার বলবে, ঘরের মধ্যে একটা জেলা করে দিন।’’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘জনপ্রতিনিধিদের বলতে দিলেই এক সমস্যা। যতই দাও শুধু চাই। নিজের কাজের বেলায় কিছু নেই।’’
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের প্রসঙ্গ এড়িয়ে আব্দুল বলেন, ‘‘ধমক দেননি। আমি রিমাইন্ডার দিলাম। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, অফিসার নেই তাও বিবেচনা করব। মুখ্যমন্ত্রীর জবাবের প্রতীক্ষায় থাকব।’’