ফাইল ছবি।
নেতাজি ইন্ডোরে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভের মুখে পড়লেন। বিভিন্ন মাপকাঠিতে এই জেলা রাজ্যের অন্যান্য জেলার তুলনায় পিছিয়ে। বৈঠকে সেই সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘‘পশ্চিম বর্ধমান সব ব্যাপারে পিছিয়ে থাকে কেন?’’
সরকারি প্রকল্পের কাজ আটকে থাকা নিয়েও বৈঠকে ওই জেলা থেকে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককে বিঁধেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘একটা ধনধান্যে স্টেডিয়াম হচ্ছে ক’বছর হল? সাত-আট বছর হয়ে গেল। একবার অর্ধেক তৈরি করে বলল, ভুল!’’ সেই সময় মলয় উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘‘এখন কাঠামোর কাজ একদম শেষ হয়ে গিয়েছে।’’ জবাব শুনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ভাই, এ সব আর শুনতে চাই না। সাত-আট বছর হয়ে গিয়েছে একই কথা শুনতে শুনতে। কেন এতদিন সময় লাগবে?’’
তবে পাশাপাশিই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কাজের নিরিখে কিছু জেলা বাকিদের থেকে পিছিয়ে পড়েছে। যেমন, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, দক্ষিণ দিনাজপুর, নদিয়া।’’ এছাড়া আলিপুরদুয়ার থেকেও কাজ আটকে থাকার বিভিন্ন অভিযোগ তিনি পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সরকারি গৃহ নির্মাণ নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা ও পশ্চিম বর্ধমান— এই তিন জেলা পিছিয়ে রয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সড়ক নির্মাণেও আলিপুরদুয়ার ও পশ্চিম বর্ধমান পিছিয়ে রয়েছে বলে জানান তিনি। সেই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী সটান প্রশ্ন করে বসেন, ‘‘পশ্চিম বর্ধমানে কী সমস্যা, সব ব্যাপারে পিছিয়ে থাকে কেন?’’ সেখানকার জেলাশাসক বলেন, ‘‘কাঁচামাল সরবরাহে সমস্যার কারণে আমরা একটু পিছিয়ে গিয়েছি।’’ মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘‘ওখানে কীসের অভাব? আমার মনে হয় ঠিক মতো ফলো আপ করা হচ্ছে না।’’