ফাইল ছবি।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামবদল-বিতর্কে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, মানুষের বোঝার সুবিধার জন্যই আঞ্চলিক ভাষায় প্রকল্পের নাম করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘এটা বাংলার মানুষের কাছে ভাষা পৌঁছনোর একটা ইউনিক পদ্ধতি।’’ পাশাপাশি, খোঁচা দিলেন কেন্দ্রীয় সরকারকেও।
সম্প্রতি বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে অভিযোগ করেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মতো কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে ‘বাংলার বাড়ি’ নাম দিয়ে রাজ্যের নামে করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে শাসকদল তৃণমূল। এই প্রসঙ্গেই উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মীনার নাম করে তিনি অভিযোগ করেন। এ বার সেই ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের নামবদলের ব্যাখ্যা এল খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে। বুধবারের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মমতা বলেন, ‘‘যেটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গেয়েছিলেন, বাংলার মাটি, বাংলার জল…ওই থিমের উপরই কিন্তু বাংলার বাড়ি প্রকল্প। কারণ, অল ইন্ডিয়া যে নামটা সেটা আমরা রিজিওনাল নামে করি। এক একটা রাজ্যের এক এক রকম ভাষা। বাংলার মানুষের কাছে ভাষাটা যাতে পৌঁছয়। এটা মানুষের কাছে ভাষা পৌঁছনোর একটা ইউনিক পদ্ধতি।’’
এর পরেই এই সমস্ত প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের অংশীদারিত্ব নিয়েও মোদী সরকারকে খোঁচা দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘‘কেউ কেউ আবার গর্ব করে বলে, কেন্দ্রের টাকা! কেন্দ্র টাকাটা পাচ্ছে কোথা থেকে। এখান থেকে ৭৫ শতাংশ টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেয় ২৫ শতাংশ। আমরা বলেছিলাম তোমরা ৫০ শতাংশ নাও। তা হলে আমাদেরটা আমরাই করে নিতে পারব। তুমি নেবে ৭৫ শতাংশ ট্যাক্স, আর সব কিছু রাজ্যের ঘাড়ে চাপাবে, এটা তো হয় না। অনেক প্রজেক্ট আছে যেখানে ম্যাক্সিমাম টাকা আমাদের দিতে হয়।’’