তালডাংরায় নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে শুভেন্দু, সৌমিত্র-সহ বিজেপি নেতারা। নিজস্ব চিত্র।
বাঁকুড়ার তালড্যাংরায় নির্যাতিতা আদিবাসী তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার বিকেলে নির্যাতিতার পরিবার তরফে বিরোধী দলনেতাকে বলা হয়, ‘‘বিষয়টি আমাদের আদিবাসী সামাজিক সংগঠন দেখছে। পুলিশ-প্রশাসনের উপর আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। দু’জন অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে।’’ এর পরেই নির্যাতিতার পরিবারের এক সদস্য শুভেন্দুকে বলেন, ‘‘এত দিন পরে আপনারা রাজনীতি করতে এসেছেন, যে পথে এসেছেন, সেই পথে ফিরে যান।’’
অস্বস্তি এড়াতে শুভেন্দু এর পর তালড্যাংরা থানার শিমুলডাঙা গ্রামের ওই নির্যাতিতার পরিবারকে বলেন, ‘‘আপনারা যখন প্রয়োজন মনে করবেন, আমাদের ডাকবেন। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। আমরা জোর করে কিছু করব না।’’ এর পর বিষ্ণুপুরে বিজেপির দফতরের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
পরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এই ঘটনার জন্য রাজ্য পুলিশকে কাঠগোড়ায় তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘ওই পরিবারকে এমন ভাবে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘিরে ছিলেন, যে তাঁরা মনের কথা আমাদের খুলে বলতে পারেননি। পুলিশ নজরে রেখেছিল পরিবারটি আমাদের কী বলেন। পরিবার নিজেদের সামাজিক সংগঠনের উপর ভরসা ও আস্থা প্রকাশ করেছেন। আমরা প্রথম দিন থেকেই পরিবারটির পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমাদের দলীয় নেতৃত্ব ঘটনার পরে পরেই পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।’’
পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে শুভেন্দুর দাবি, ‘‘ওই পরিবারকেই দু’দিন পরে বলতে হবে, ‘পুলিশের তদন্তে আমাদের আস্থা নেই’।’’ বুধবার শুভেন্দুর সঙ্গে ছিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা, বাঁকুড়ার বিধায়ক নিলাদ্রীশেখর দানা, সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামী এবং কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহার।
প্রসঙ্গত, রবিবার তালডাংরায় ওই আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে জনা চারেক যুবকের বিরুদ্ধে। তরুণীকে উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তরুণীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার দিনই বিকেলে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ, অভিযুক্তেরা সকলেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত।