Mamata Banerjee

এসএসকেএম-কাণ্ড ‘হ্যান্ডল’ করেও কড়া পদক্ষেপের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী, ফোন সুপারকে

নিগৃহীত চিকিৎসকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি সুপারকে ফোন করে ওদের জন্য সরি বলেছি।” রাজ্য প্রশাসন জুনিয়র চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে বলে জানান তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:৩৩
Share:

এসএসকেএম-কাণ্ডে কড়া পদক্ষেপের কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী। ফাইল চিত্র।

এসএসকেএম-কাণ্ডে কড়া পদক্ষেপ করার কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার সকালে জি২০ বৈঠকে দিল্লি যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমি সকালেই বিষয়টা হ্যান্ডল করে দিয়েছি। অল্পবয়সি কেউ মারা গেলে দুঃখ-কষ্ট হয়, কিন্তু তা বলে মারধর ভাঙচুর করা হয় না।” প্রহৃত চিকিৎসকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করতে সোমবার সকালেই তিনি হাসপাতালের সুপারকে ফোন করেছেন বলে জানান।

Advertisement

রবিবার মধ্যরাতে এক যুবকের মৃত্যুর পর মৃত্যুর শংসাপত্র লেখাকে কেন্দ্র করে বচসায় উত্তাল হয় এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বর। হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভাঙচুর করা হয়। রোগীর আত্মীয়রা হাসপাতালে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ ওঠে। চিকিৎসকদেরও মারধর করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, “কত কষ্ট করে ট্রমা সেন্টার বানিয়েছি। অথচ কিছু লোক এসে সেটাকেই ভেঙে দিল।” ঘটনার সময় সিনিয়র চিকিৎসকরা কেন ছিলেন না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। এসএসকেএম-এ পুলিশের স্থায়ী ক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও পুলিশ কেন ভাঙচুরের খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

রোগীর পরিজনদের হাতে নিগৃহীত চিকিৎসকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে তিনি বলেন, “সোমবার সকালেই আমি সুপারকে ফোন করে ওদের জন্য সরি বলেছি।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “জুনিয়র চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে রাজ্য প্রশাসন।” এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার মধ্যরাতে এসএসকেএম হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে আসা হয় ওই যুবককে। তিনি হুগলির চুঁচুড়ার বাসিন্দা। এর পর তাঁকে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পর মৃত্যুর শংসাপত্র লেখা নিয়ে গোলমাল বাধে।

সূত্রের খবর, রোগীর মৃত্যুর শংসাপত্র লেখার সময় ট্রমা কেয়ার সেন্টারের চিকিৎসকদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন রোগীর আত্মীয়রা। কর্তব্যরত ৪ জন চিকিৎসককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি ট্রমা কেয়ার সেন্টারের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়। হামলা চালানো হয় এক্সরে মেশিনের উপরেও। খবর পেয়ে মধ্যরাতেই ঘটনাস্থলে আসে ভবানীপুর থানার পুলিশ। তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে হাসপাতালে এ ভাবে হামলা এবং চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনায় কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের পরিস্থিতি তৈরি হয়। যাঁরা ভাঙচুর করেছেন, তাঁদের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছিলেন তাঁরা।

মৃত যুবকের নাম মহম্মদ আরমান। বয়স ২২। তাঁর বাড়ি হুগলি জেলার ব্যান্ডেলে। গত ২৯ নভেম্বর শ্রীরামপুর থানার বাঙ্গিহাটিতে মোটর বাইক নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন আরমান। সে সময় একটি মালবাহী গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে তাঁকে। আরমানকে আহত অবস্থায় প্রথমে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে, পরে এসএসকেএমে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। গত রবিবার রাতে মৃত্যু হয় আরমানের। তাঁর মৃত্যুর পর মৃত্যুর শংসাপত্র লেখা নিয়েই বচসার সূত্রপাত হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement