মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
নির্বাচন কমিশন আদর্শ আচরণবিধি প্রত্যাহার করে নিয়েছে বৃহস্পতিবার। শুক্রবার নবান্ন সূত্রে জানা গেল, প্রশাসনিক বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী মঙ্গলবার নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেই বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে প্রত্যেক মন্ত্রী, সমস্ত জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার, সমস্ত দফতরের সচিব এবং প্রধান সচিবদের। মার্চের শেষ থেকে ভোটের প্রচারে গোটা রাজ্যে ঘুরতে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। দীর্ঘ সময় ধরে ভোট নিয়ে প্রচার থেকে উষ্মাও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। একাধিক জনসভা থেকে মমতা বলেছিলেন, ‘‘দু’মাস ধরে ভোট করছে। কোনও কাজই করতে পারছি না।’’
ভোট ঘোষণা হওয়া ইস্তক পুলিশ-সহ প্রশাসন ছিল নির্বাচন কমিশনের অধীন। সেই পর্বে বাংলার প্রশাসনে একাধিক রদবদল করেছিল কমিশন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দু’বার রাজ্য পুলিশের ডিজি বদল করা হয়েছিল। তা ছাড়া একাধিক জেলাশাসক, থানার আইসিকে সরিয়ে দিয়েছিল কমিশন। তা নিয়েও মমতা ভোটের প্রচারে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। মমতা এ-ও বলেছিলেন, ভোট মিটলে অপসারিত অফিসার, আমলাদের পুরনো জায়গায় ফিরিয়ে আনবেন তিনি। ফলে প্রশাসনিক বৈঠকের আগে কৌতূহল তৈরি হয়েছে, মঙ্গলবার বা তার আগেই মমতা রদবদল করে দেন কি না। পুলিশ এবং প্রশাসনে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ রয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে রাজীব কুমারকে ফিরিয়ে আনা হয় কি না, তা নিয়ে।
নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধির কারণে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ গত আড়াই মাস ধরে থমকে ছিল। নবান্ন সূত্রে খবর, মঙ্গলবারের বৈঠক থেকে সেই কাজে গতি আনার বার্তা দিতে পারেন মমতা। পাশাপাশিই, নতুন করে দুয়ারে সরকার শিবির করা হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।