—নিজস্ব চিত্র।
আসানসোলের পর এ বার চন্দরনগর। পুরভোটে প্রার্থিতালিকা ঘোষণা হতেই তা নিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। চন্দননগরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী মৌমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলে অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মনোনীত করার দাবি করেছেন তাঁরা। শুক্রবার সকালে টায়ার জ্বালিয়ে, স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখান ওই কর্মী-সমর্থকেরা। যদিও একে আমল দিতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব-সহ বাকি কর্মীরা।
শিলিগুড়ি, বিধাননগর, আসানসোল এবং চন্দননগর পুরনিগমে ২২ জানুয়ারি নির্বাচন। বৃহস্পতিবার দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য উপযুক্ত প্রার্থী অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক বিক্ষোভাকারী তথা তৃণমূলকর্মী অমিত সাহার দাবি, ‘‘গত পাঁচ বছর ধরে মৌমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের কোনও কাজে ছিলেন না। এমন এক জন কর্মীকে প্রার্থী হিসাবে বাছাই করা হয়েছে। ভুলবশত মৌমিতাকে প্রার্থী করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দীর্ঘদিন ধরে এ ওয়ার্ডটি সিপিআইএমের দখলে। এই ওয়ার্ডে জয়ের জন্য অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হোক।’’ যদিও এ দাবিকে পাত্তা দিতে চাননি চন্দননগরের বিদায়ী পুরপ্রশাসক রাম চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘প্রার্থীবাছাই তো কোনও এক জনের কাজ নয়। আইপ্যাক এবং দলীর নেতৃত্ব প্রার্থীদের মনোনীত করেছে। হয়তো কিছু সমস্যা থাকতে পারে, তবে তা ৫ শতাংশ মাত্র। যা-ই হোক না কেন, আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হিসাবেই কাজ করব। প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ দূর হয়ে যাবে।’’
একই সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূলের অন্য কর্মীদের কণ্ঠেও। দলীয় কর্মী সুদীপ দে-র কথায়, ‘‘এই ওয়ার্ডটি এক সময় সিপিএমের ঘাঁটি ছিল। অনেক লড়াই করেই এখানে তৃণমূলের অফিস করেছি। ভেবেচিন্তেই তরুণ প্রজন্মের এক জনকে প্রার্থী করেছেন দলীয় নেতৃত্ব। আমরা মৌমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই রয়েছি।’’ ইতিমধ্যেই মৌমিতার নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘দলের কারা বিক্ষোভ করছেন জানি না। তবে দল আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা পালন করব।’’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার আসানসোলের একাধিক ওয়ার্ডে প্রার্থিতালিকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান শাসকদলের কর্মীদের। টিকিট না পাওয়ায় অনেকেই নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়ানোর প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন। যদিও দলীয় কর্মীদের ক্ষোভ মিটে যাবে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।