প্রতীকী ছবি।
বাড়ির মূল দরজার কাছে উঠোনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন প্রৌঢ় বৌমা হাউ মি হা (৬০)। ভিতরঘরের বারান্দায় পড়ে রক্তাক্ত বৃদ্ধ শ্বশুর লি কা সিয়ং (৮৯)। শুক্রবার রাতে ট্যাংরার চায়না টাউনের একটি বাড়ি থেকে ওই দু’জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় নীলরতন সরকার হাসপাতালে। প্রৌঢ়াকে মৃত ঘোষণা করা হয়। শ্বশুরের চিকিৎসা চলছে।
পুলিশ জানায়, রাত ৮টা নাগাদ হাউয়ের স্বামী লি ওয়ান সং বাড়ি ফিরে দেখেন, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। ডাকাডাকিতে দরজা না-খোলায় স্থানীয় এক যুবকের সাহায্যে মই লাগিয়ে পাঁচিল টপকে ভিতরে গিয়ে বাবা ও স্ত্রীকে পড়ে থাকতে দেখেন ওয়ান। স্থানীয় বাসিন্দা নুরজাহান মণ্ডল বলেন, ‘‘উঠোন ও বারান্দা রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। আমরা পুলিশকে খবর দিই।’’ প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের ধারণা, এটা খুনেরই ঘটনা। আততায়ী বাইরের না ঘরের, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
পড়শিরা জানান, লি কা এবং ওয়ান জ্যোতিষী ও পুরোহিতের কাজ করেন। ওয়ানের ছেলেমেয়েরা বিদেশে। বেশ কয়েক বছর আগে ওই বাড়িতে ডাকাতি হয়েছিল। এ দিনও কেউ ডাকাতি করতে এসেছিল কি না, তদন্ত করছে পুলিশ। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘কিছু নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু হয়েছে। লি কা বয়ান দেওয়ার অবস্থায় নেই। তিনি কিছুটা সুস্থ হলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’