২০১৫-এর সমীক্ষার থেকে এই হার তিন শতাংশ বেড়েছে। প্রতীকী ছবি।
খাস কলকাতা থেকে শুরু করে দুই মেদিনীপুর (বিশেষত পূর্ব), পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, হুগলির মতো জেলায় উদ্বেগজনক ভাবে বাল্য বিবাহের হার বাড়ছে বলে কেন্দ্রীয় পরিবার ও স্বাস্থ্য পরিষেবা মন্ত্রকের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে। এবং কন্যাশ্রীর মতো নানা প্রকল্প সত্ত্বেও দেশে বাল্যবিবাহে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গই। দু’নম্বরে বিহার।
২০১৯ সালের কেন্দ্রীয় সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, বাংলায় ২৪-২৫ বছরের মেয়েদের মধ্যে ৪১.৬ শতাংশের বিয়ে হয়েছে ১৮-র কম বয়সে। ২০১৫-এর সমীক্ষায় পরিসংখ্যান একই ছিল। পাশাপাশি, ২৫-২৯ বছরের ছেলেদের মধ্যে ২০ শতাংশের ২১-এর কম বয়সে বিয়ে হয়। ২০১৫-এর সমীক্ষার থেকে এই হার তিন শতাংশ বেড়েছে। বৃহস্পতিবার ইউনিসেফের সহায়তায় বাল্য বিবাহ রোধে একটি সম্মেলন-কর্মশালায় শামিল হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যের শিশু ও নারী কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘‘সব রাজ্যে সব তথ্য রিপোর্ট হয় না। কিন্তু আমরা পুরো তথ্য রিপোর্ট করি। আমরা বাল্য বিবাহ রোধে কাজ করে যাচ্ছি।’’ যেটা অতিমারির পরে আরও বেড়েছে বলেই সরকারি স্তরে ধারণা।
ইউনিসেফ-কর্তারাও মনে করেন, বাল্য বিবাহ রোধে দেশের মধ্যে তৎপরতা বেশি পশ্চিমবঙ্গেই। তবু সমাজকর্মীদের মতে, পশ্চিমবঙ্গে ছেলেমেয়েরা বেশি স্বাধীনচেতা। তাই ভালবেসে বা বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ের প্রবণতা এ রাজ্যে বেশি। তাতে আবার পাচারের আশঙ্কাও থাকে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।