ছবি: সংগৃহীত।
শুধু জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ বলে নয়, রাজ্যে সুস্থ ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থেই প্রশাসনকে কাজ করতে হবে। শুক্রবার নবান্নে এক বৈঠকে এমনই বার্তা দিয়েছেন মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ।
দূষণ প্রতিরোধে কলকাতা এবং রাজ্যের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নয় জাতীয় পরিবেশ আদালত। বিশেষ করে পরিবহণের ক্ষেত্রে ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি ব্যবহার বন্ধ করার বিষয়ে আগেই রাজ্যকে সতর্ক করেছে তারা। তাদের বক্তব্য, যানবাহন চলাচলের জন্য দূষণ মাত্রা ছাড়াচ্ছে। তা বন্ধ করার জন্য কিছু দাওয়াইয়ের কথাও জানিয়েছে আদালত। সেই দাওয়াই প্রয়োগের জন্য নিয়ে সরকারকে চিঠিও দিয়েছে। তা না-মানায় ১০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে রাজ্যের। ৪ নভেম্বর ফের রাজ্যকে হলফনামা দিতে বলেছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। তার আগেই প্রস্তুত থাকার জন্য এ দিন পরিবহণ, পরিবেশ, কলকাতা পুরসভা, কেএমডিএ এবং পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব।
পরিবেশ দফতর সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে রাজীববাবু জানান, আদালত যে-নির্দেশিকা দিয়েছে, রাজ্যের পরিবেশ সুস্থ রাখতে তা সরকারেরই রূপায়ণ করা উচিত। সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে তাঁর নির্দেশ, প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করে দিতে হবে। কতটা কাজ হল, রিপোর্ট দিতে হবে। এ-সব ফেলে রাখা যাবে না।
নবান্ন সূত্রের খবর, বৈঠকে বলা হয়, যানবাহন থেকে সৃষ্ট দূষণ নিয়েই সব চেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে। রাস্তার যানজট কাটাতে কী প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে, দ্রুত তার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পার্কিং লট না-করে এক জায়গায় পরপর পার্কিং জ়োন করতে বলা হয়েছে। তাতে দূষণও কমে। কলকাতায় সেই নিয়ম দ্রুত বলবৎ করতে হবে। রাজ্যে এবং কলকাতায় বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের জন্য ১৫ বছরের পুরনো যে-সব গাড়ি এখনও চলছে, তা বাতিল করতে হবে। শহরের যত্রতত্র ফেলা জঞ্জালে আগুন ধরানোর ঘটনা ঘটলেই সঙ্গে সঙ্গে জরিমানা করতে বলা হয়েছে। সে-ক্ষেত্রে পরিবেশ-বিধি ভাঙার জন্য পুলিশও আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে এ দিনের বৈঠকে।