CAG Report

‘কোনও হিসাব বাকি নেই’! মুখ্যসচিব বললেন, ‘এক বছরে ২০ বছরের সিএজি রিপোর্ট মানতে পারছি না’

সিএজি রিপোর্ট নিয়ে এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন। তৃণমূলের দাবি, এর মধ্যে ২০০২-’০৩ থেকে বাম জমানার হিসাব রয়েছে ওই রিপোর্টে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩৮
Share:

নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক। ছবি: ফেসবুক।

সিএজি (কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া) যে রিপোর্ট দিয়েছে, তার সঙ্গে একমত নয় রাজ্য সরকার। শুক্রবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন মুখ্যসচিব বিপি গোপালিক। তিনি বলেন, ‘‘ওই সিএজি রিপোর্ট রাজ্য সরকার মানতে পারছে না। মোট আটটি দফতরের কথা বলা হয়েছে রিপোর্টে। তাতে দু’লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকার কথা বলা হচ্ছে। সেটাতে একটি ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। কারণ, ২০০২-০৩ থেকে ২০ বছরের হিসাব ধরে বলা হচ্ছে যে সেটা ২০২১ সালের রিপোর্ট। তাই রাজ্য সরকারের তরফে এটা পরিষ্কার করা দেওয়া হচ্ছে যে এটা ২০ বছরের হিসাব।’’

Advertisement

বস্তুত, সিএজি রিপোর্টে বলা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত কেন্দ্রীয় অনুদানের এক লক্ষ ৯৪ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ খরচের শংসাপত্র (ইউসি) জমা দিতে পারেনি। সেই রিপোর্টকে হাতিয়ার করেছে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী সরকার অভিযোগ তুলেছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রীয় অনুদানের প্রায় দু’লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকা খরচের শংসাপত্র দিতে পারেনি। বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল সরকার এই টাকা নয়ছয় করেছে। এর প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও দিয়েছেন। তৃণমূলের দাবি, এর মধ্যে ২০০২-’০৩ থেকে বাম জমানার হিসাব রয়েছে। সেই হিসাব কেন চাওয়া হচ্ছে, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শাসকদল। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব বলেন, ‘‘এখন প্রশ্ন হল, ২০ বছর ধরে যদি ইউসি না দেওয়া হয় তা হলে সিএজি থেকে আমাদের এজি এবং যাঁরা যাঁরা অডিট করেন, তাঁদের বলতে পারতেন যে এ বছর ইউসি পেন্ডিং আছে। তাই এ ব্যাপারে প্রয়োজনে আমরা আলোচনা করব।’’ গোপালিকের সংযোজন, ‘‘সিইজি রিপোর্ট মানতে পারছি না। কারণ, এটা ঠিক রিপোর্ট নয়। সমস্ত দফতরের সেক্রেটারি ইউসি নিয়ে বসে আছেন।’’ তিনি এ-ও জানান, পঞ্চায়েত এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল আসে। গত দু’বছরে এমন ৩৩৪টি দল এসেছে বিভিন্ন মন্ত্রক থেকে। তার মধ্যে যেমন পঞ্চায়েত রয়েছে, তেমনই রয়েছে স্বাস্থ্যক্ষেত্র। তবে সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় দল এসেছে পঞ্চায়েতের জন্য। সেই দল যা যা তথ্য চেয়েছে, সমস্তই জমা করা হয়েছে। কোনও কিছুই ‘পেন্ডিং’ নেই। ৩৩৪টি কেন্দ্রীয় দলকেই তথ্য দেওয়া হয়েছে। নবান্নে ওই সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন অর্থসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, সিএজি রিপোর্ট নিয়ে বিধানসভাতেও হইচই হয়েছে। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি রাজ্য সরকারে বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে। এ নিয়ে আলোচনার দাবি মঙ্গলবার বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব জমা দেয় বিজেপির পরিষদীয় দল। পাশাপাশি, সিএজি রিপোর্ট নিয়ে তদন্তের দাবিও তোলে বিজেপি। যদিও ওই আলোচনার অনুমতি দেননি বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement