নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের পুজোর উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা। ফাইল চিত্র
গত বৃহস্পতিবার থেকেই পুজোর উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।রবিবার সেলিমপুর পল্লি, চেতলা অগ্রণী-সহ চারটি পুজোর উদ্বোধন করেছেন তিনি। আগামী কয়েকদিন দক্ষিণ কলকাতার বেশকিছু পুজোর উদ্বোধন হবে তাঁর হাত ধরেই। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ধারাবাহিক ভাবে গত ১১ বছর নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘেরপুজোর উদ্বোধন হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই। নাকতলার পুজোর সঙ্গে সরাসরি নিজেকে সম্পৃক্ত না রাখলেও, প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত প্রভাবেই নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের পুজোর উদ্বোধন করতে আসতেন মমতা। কিন্ত এ বার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন।
গত ২৩ জুলাই পার্থকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাই প্রভাব খাটিয়ে নাকতলার পুজোয় মুখ্যমন্ত্রীকে কে নিয়ে আসবেন? তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, প্রতিবার পুজো কমিটির তরফে নবান্নে চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্বোধনের জন্য আবেদন জানানো হত। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই পুজোর উদ্বোধন করতে আসতেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বার নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের কর্তারা নবান্নে পুজোর উদ্বোধনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। মহালয়ার দিন পর্যন্ত পুজো কমিটির কর্তারা প্রশাসনের তরফে কোনও সদুত্তর পাননি। গত বছর পর্যন্ত যেখানে মহালয়ার অনেক আগেই প্রশাসনের কর্তারা নাকতলার কর্মকর্তাদের মুখ্যমন্ত্রীর আগমনের বার্তা দিয়ে দিতেন। সেখানে এ বছর পরিস্থিতি অনেকটাই ব্যতিক্রমী ঠেকেছে নাকতলার পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে।
এমন পরিস্থিতিতেও হাল ছাড়তে নারাজ তাঁরা। পুজো কমিটির অন্যতম কর্তা অঞ্জন দাস বলেন, ‘‘আমরা আগে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্বোধনের জন্য আমন্ত্রণ জানাতাম, এ বারও সেভাবেই আমন্ত্রণ জানিয়েছি। কিন্তু এখনও কোনও জবাব পাইনি। তবে আমরা এখনও আশা ছাড়িনি। কারণ এত বছরে তো তিনি কখনও আমাদের নিরাশ করেননি।’’
পার্থ ঘনিষ্ঠ ও বর্তমানে নাকতলার পুজো কমিটি থেকে বিচ্ছিন্ন এক সদস্যের কথায়, ‘‘নাকতলার পুজোয় মুখ্যমন্ত্রী আসতেন পার্থদার কারণে। এ বার তিনি যখন জেলে, তখন মুখ্যমন্ত্রীকে আনবেন কে?’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘নাকতলার পুজোর উদ্বোধনের একটি ভিডিয়োতে পার্থদা ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা গিয়েছিল। সেই ভিডিয়োটি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ভাইরাল করে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছিল। তেমন ঘটনার পর যে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই আসবেন না, তা পুজো কমিটির কর্তারা ভালোই জানেন।’’