মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্রেনে চড়েই উত্তরবঙ্গ সফরে যেতে পারেন। নিজস্ব চিত্র
‘জওয়াদ’ ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। ঝড় সে ভাবে না হলেও লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। সেই দুর্যোগের কারণে এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরসূচিতে বদল করা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। সেই পর্যায়ে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টারে উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করেছে প্রশাসন। বদলে সোমবার রাতে শতাব্দী এক্সপ্রেসে মালদহ পৌঁচ্ছে যাবেন তিনি। আগাম দুর্যোগের আভাস থাকায় মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বিকল্প পরিবহণের ব্যবস্থা করতে আলোচনায় বসেন নবান্নের শীর্ষ কর্তারা। মুখ্যমন্ত্রীর ব্যস্ততা ও তাঁর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই পূর্ব রেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে আধিকারিকরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে তৈরি হয় সফরসূচি। ট্রেনে করেই আপাতত উত্তরবঙ্গে যাওয়ার সফরসূচি চূড়ান্ত হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। নবান্নের এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, দুর্যোগ সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী তাঁর প্রশাসনিক বৈঠক বাতিল করতে চাননি। তাই তাঁর জন্য বিকল্প হিসেবে রেলপথেই উত্তরবঙ্গে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সফরে মুখ্যমন্ত্রী উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে মোট পাঁচটি জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করবেন।
নবান্ন সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে শতাব্দী এক্সপ্রেসে চেপে মালদহ যাবেন মমতা। সন্ধ্যায় মালদহ পৌঁছে সেখানেই থাকবেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী কনভয় নিয়ে যাবেন উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘিতে। সেখানেই উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষ করে মঙ্গলবারই মালদহ ফিরে আসবেন। পরদিন বুধবার সকালে মালদহ জেলার প্রশাসনিক বৈঠক। সেই বৈঠক শেষ করে সড়কপথে মুখ্যমন্ত্রী যাবেন মুর্শিদাবাদ। ওই দিনই বিকেলে মুর্শিদাবাদ জেলার প্রশাসনিক বৈঠক ডাকা হয়েছে। পরদিন মুর্শিদাবাদ থেকে আসবেন নদিয়া জেলার সদর শহর কৃষ্ণনগরে। বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরেই হবে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক। ওই দিনই কলকাতায় ফিরে আসবেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০০৯-'১১ সাল পর্যন্ত রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতার প্রশাসনিক সফর হত রেলে চড়েই।