ছবি: সংগৃহীত।
কয়লা পাচারে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা-ঘনিষ্ঠ চার ব্যবসায়ীকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মাস কয়েক আগে জয়দেব মণ্ডল, নারায়ণ নন্দা, গুরুপদ মাজি ও নীরদ মণ্ডল নামে ওই চার ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। আগামী সপ্তাহে ইডি-র দিল্লির সদর দফতরে তাঁদের তলব করা হয়েছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে।
ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এতে রাজ্য পুলিশের একাংশ ও প্রভাবশালী যোগ রয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। লালার ঘনিষ্ঠ ওই চার ব্যবসায়ী মূলত বেআইনি কয়লা পাচারে জড়িত বলে অভিযোগ। এর পাশাপাশি তাঁরা কয়লা বিক্রির টাকা পুলিশকর্তা ও প্রভাবশালীদের কাছে পৌঁছে দিতেন।
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় একাধিক পুলিশকর্তাকে দিল্লির সদর দফতরে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর স্ত্রী রুজিরাকেও দিল্লির অফিসে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু তদন্তকারীদের চিঠি দিয়ে রুজিরা জানিয়েছিলেন, এই করোনাকালে কলকাতা থেকে দিল্লি গিয়ে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। দিল্লির সদর দফতরে রুজিরার হাজিরার বিষয়টি এখন দিল্লি হাই কোর্টে বিচারাধীন।
ইডি সূত্রে খবর, অভিষেকের আপ্ত-সহায়ক সুমিত রায়কেও একাধিক বার নোটিস পাঠিয়ে দিল্লির অফিসে তলব করা হয়েছে। সম্প্রতি ওই নোটিসের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুমিত। কোর্ট জানিয়েছে, ছ’সপ্তাহ সুমিতকে গ্রেফতার করা যাবে না।