সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর সফরসূচিতে বদল হয়, তারপরেই ঠিক হয় আগে মুখ্যমন্ত্রী মালদহে যাবেন তারপর যাবেন বীরভূমে। ফাইল চিত্র।
সব ঠিকঠাক থাকলে জানুয়ারি মাসের শেষে মালদহ যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ফেব্রুয়ারির শুরুতেই যেতে পারেন বীরভুমে। নবান্ন সূত্রে খবর, জানুয়ারি মাসের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি মালদহ সফরে যেতে পারেন তিনি। ওইদিন সেখানে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মমতা। পরদিন ১ ফেব্রুয়ারি যেতে পারেন বীরভূমে। সেখানেও একটি প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা তাঁর। মুখ্যমন্ত্রী এই দু’দিনে সফর পুরোপুরি প্রশাসনিক হতে পারে বলেই জানাচ্ছে নবান্নের একটি সূত্র। দু’টি সভাতেই নতুন প্রকল্পের ঘোষণার পাশাপাশি, সরকারি পরিষেবার বিভিন্ন প্রকল্প তুলে দেবেন আম জনতার হাতে।
যদিও, আগে ঠিক ছিল ৩০ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠক করেই বীরভূমে যাবেন মমতা। কিন্তু সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর সফরসূচিতে বদল হয়, তারপরেই ঠিক হয় আগে মুখ্যমন্ত্রী মালদহে যাবেন তারপর যাবেন বীরভূমে। মালদহে গাজোল কলেজের মাঠে প্রশাসনিক সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বীরভূমের প্রশাসনিক সভাটি হবে বোলপুর ডাক বাংলোর মাঠে। আপাতত এই দু’টি প্রশাসনিক সভা ছাড়া এখনও পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক সভা রাখা হয়নি। যদিও রাজনৈতিক বৃত্তে থাকা ব্যক্তিত্বদের মতে, আগামী পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখেই এই সফরে যাচ্ছেন মমতা। এই সফর থেকে কলকাতায় ফিরেই ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোটে যাওয়ার বিষয়ে প্রস্তুতি নেবেন মমতা।
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় ভোট। তার আগে মমতা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই সেখানে যাবেন ভোটের প্রচারে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৬ এবং ৭ ফেব্রুয়ারি দু’দিনের সফরে ত্রিপুরায় যাবেন তৃণমূলনেত্রী। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতা থেকে বিমানে আগরতলা পৌঁছনোর কথা মমতার। ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজোও দিতে যাবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। রাতে আগরতলায় থেকে পরের দিন রাজধানী ওই শহরে তিনি একটি ‘রোড শো’ করবেন। তার পর তিনি ফিরে আসবেন কলকাতায়। তারপর আবার জেলা সফর শুরু করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সে ক্ষেত্রে পূর্ব বর্ধমান-সহ দক্ষিণবঙ্গের আরও কয়েকটি জেলার সফরে যেতে পারেন তিনি।