অটোকে পরিবহণ দফতরের নিয়ন্ত্রণে আনাও লক্ষ্য দফতরের কর্তাদের। ছবি: সংগৃহীত।
কলকাতা সহ রাজ্য জুড়ে দূষণের মাত্রা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে অবৈধ অটোর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে পরিবহণ দফতর। কলকাতা তথা রাজ্য জুড়ে ঠিক কত সংখ্যক অবৈধ অটো চলছে, তা জানতে শীঘ্রই এক সমীক্ষা শুরু করতে চলেছে তারা। এই সমীক্ষা শুরু হলে রাজ্যে কত সংখ্যক বেআইনি অটো চলছে তা যেমন সহজে জানতে পারবেন পরিবহণ দফতরের কর্তারা, তেমনই সেই সব অটোর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থাও নিতে পারবেন তাঁরা। শনিবার এক সরকারি অনুষ্ঠানে এই সমীক্ষা শুরুর কথা জানিয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। শুধু বেআইনি অটোই নয়, পরিবেশ দূষণকারী কোনও গাড়িই পশ্চিমবঙ্গে চালানোর পক্ষপাতী নয় পরিবহণ দফতর। কিন্তু একসঙ্গে সব ধরনের গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়। তাই প্রথমে রাজ্য জুড়ে বেআইনি অটোর ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে চাইছেন পরিবহণ দফতরের কর্তারা। কারণ শহরতলি এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা অটো স্ট্যান্ডে দেদার চলছে বেআইনি অটো। সেই সব অটো স্ট্যান্ডগুলিতে নজর দিয়ে বৈধ অটো চালাতে চায় পরিবহণ দফতর। এ ক্ষেত্রে অটোকে পরিবহণ দফতরের নিয়ন্ত্রণে আনাও লক্ষ্য দফতরের কর্তাদের।
প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে, ঠিক কত সংখ্যক বেআইনি অটো চলছে, সমীক্ষার মাধ্যমে সেই বিষয়ে ধারণা স্পষ্ট করবে পরিবহণ দফতর। অটোর সংখ্যা জেনে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন তাঁরা। পরিবহণ দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী, এমন কোনও গাড়ি চালাতে দিতে চায় না পরিবহণ দফতর। তাই ধীরে ধীরে এ বিষয়ে আমরা অগ্রসর হচ্ছি। সরকারি উদ্যোগে পরিবেশবান্ধব গাড়ি চালানোর উদ্যোগ বহু আগে থেকেই শুরু হয়েছে। কিন্তু সরকার চায় বেসরকারি পরিবহণের ক্ষেত্রেও প্রাধান্য পাক দূষণ নিয়ন্ত্রণকারী যান। তাই বেআইনি অটোর সংখ্যার সঠিক হদিস পেতে সমীক্ষা শুরু করা হচ্ছে।’’ তাই সব জেলাশাসক ও আরটিও-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সমস্ত অবৈধ অটো খুঁজে বের করতে। বেআইনি অটো বন্ধ করে যেমন দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে পরিবহণ দফতর, তেমনই পরিবেশবান্ধব অটো চালিয়ে, অটো চলাচলে ভারসাম্য আনতে নির্দিষ্ট রুটের বৈধতা দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।