মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
পাঁচ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে রওনা হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার দুপুরে দমদম বিমানবন্দর থেকে হাসিমারার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বিজেপি বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার সঙ্গ ত্যাগ করে এনডিএ-তে ফিরে যাওয়ার ঘটনায় তাঁর কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে, কোনও মন্তব্য না করেই বিমান ধরতে চলে যান মমতা। বাংলার রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, জোট ইন্ডিয়াতে থাকলেও নিজের রাজ্যের ৪২টি আসন নিয়েই বেশি নজর দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সেই লক্ষ্যেই তিনি নিজের পাঁচ দিনের সফরে মোট আটটি জেলায় কর্মসূচি করবেন। নিজের এই সফরের প্রথম দিনেই রাজবংশী সমাজের একটি দীর্ঘ দিনের দাবিকে মান্যতা দিতে চলেছেন মমতা।
সোমবার দু’টি অনুষ্ঠানে যোগদানের কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমটি হবে কোচবিহারে, দ্বিতীয়টি শিলিগুড়িতে। কোচবিহারের সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই রাজবংশী ভাষা সরকারি স্কুলে পড়ানোর ঘোষণা করবেন মমতা। রাজ্যে মোট ১৯২টি স্কুলে রাজবংশী পড়ানো হবে বলে শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর। যার মধ্যে ১২০টি রয়েছে কোচবিহারে ও ৭২টি রয়েছে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায়। সোমবার দু’টি পৃথক সরকারি অনুষ্ঠানে রাজবংশী ভাষায় পঠনপাঠন শুরু করার কথা ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনীতির কারবারিদের মতে, এ বছর লোকসভা ভোটের রাজবংশী ভোট নিজেদের ঝুলিতে টানতেই এই ঘোষণা করবেন মমতা।
সোমবারের পর মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের আরও দু’টি জেলায় সরকারি অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন তিনি। প্রথমে রায়গঞ্জে ও পরে বালুরঘাটের সরকারি অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন তিনি। প্রসঙ্গত বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বালুরঘাট লোকসভার সাংসদ। মমতা ওই দিন বালুরঘাটে সভা করার পাশাপাশি মঙ্গলবার রাত্রিযাপন করবেন সেখানেই। মনে করা হচ্ছে, ওই দিন রাতেই তিনি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে দেখাও করতে পারেন। পাশাপাশি, জনসংযোগও করতে পারেন তিনি।
বুধবার সকালে বালুরঘাট থেকে রওনা দিয়ে মমতার গন্তব্য হবে মালদহ। সেখানে সরকারি অনুষ্ঠানে পরিষেবা প্রদান করে মুখ্যমন্ত্রী যাবেন বহরমপুর। সেখানেও একটি সরকারি অনুষ্ঠান রয়েছে তাঁর। ওই দিনই মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছে যাবেন কৃষ্ণনগর। পরদিন নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে সরকারি অনুষ্ঠানে পরিষেবা প্রদান করে ফিরে আসবেন কলকাতায়। আপাতত নবান্ন সূত্রে মমতার এমনই কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছে।