মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।
আগামী বছর বাংলার শারদোৎসবকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জুড়তে চান বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে হওয়া দুর্গাপুজোর সঙ্গে। সোমবার আলিপুরের উত্তীর্ণ মুক্তমঞ্চে ভবানীপুর বিধানসভা এলাকার বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির হয়েছিলেন ওই কেন্দ্রের বিধায়ক মমতা। সেখানেই আগামী বছরের শারদোৎসব নিয়ে তাঁর ভাবনার কথা জানান।
মমতা বলেন, ‘‘এ বারের পুজোয় সারা দেশের ১৪০টি পুজোকে মিষ্টি পাঠিয়েছি। আমার বাংলার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়েছি। আগামী বছর আমার পরিকল্পনা রয়েছে, সারা পৃথিবীতে যেখানে যেখানে দুর্গাপুজো হয় বিশ্ববাংলায় একটা পুরস্কার আমরা দিই। আমরা তাদের সঙ্গেও কানেক্ট করব। যাতে তারা আপনাদেরটা দেখতে পারেন, আমরাও তাদেরটা দেখতে পারি।’’
শারদোৎসবের পর রেড রোডে প্রতি বছর দেবী প্রতিমা নিয়ে কার্নিভালের আয়োজন হয়। এ বার সেই কার্নিভালের আয়োজন হয়েছিল জেলা ও মহকুমা স্তরেও। সেই বিষয়টি উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘‘পুজো কার্নিভাল সব জেলাকে কানেক্ট করে, এ বার মহকুমাভিত্তিক হয়েছে। কার্নিভালে নম্বর ওয়ান ছিল ব্রাজিল, এ বার ব্রাজিলকেও ছাপিয়ে গিয়েছে এই কার্নিভাল। জনসমাগম ও সব দিক থেকে আমরা নম্বর ওয়ান।’’
এ বার পায়ের সমস্যার কারণে শারদোৎসবে মণ্ডপ উদ্বোধন করেছেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। তাই কলকাতা শহরের পাশাপাশি জেলার পুজো মিলিয়ে এক হাজারের বেশি পুজোর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অভিজ্ঞতার নিরিখে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এ বার পুজো জেলায় জেলায় যে সব ভাবনা নিয়ে পুজো হয়েছে তা অনবদ্য। আমি ববি, অরূপ, দেবাকে বলেছি, পুজোর বিষয় নিয়ে এ বার তোমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। কারণ সব ভাবনাই জেলা নিয়ে ফেলেছে।’’ উল্লেখ্য বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সুরুচি সংঘ, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম চেতলা অগ্রণী ও বিধায়ক দেবাশিস কুমার ত্রিধারা সম্মেলনীর পুজোর বড়কর্তা। তাঁদের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি মমতা জেলার পুজোর প্রশংসা করেছেন।