বিশ্ববাংলা প্রাঙ্গণ উদ্বোধনে মমতা
আগামী সপ্তাহে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আগে নতুন রূপে গড়ে তোলা হল মিলনমেলা প্রাঙ্গণ। এখন থেকে যার নতুন নাম বিশ্ববাংলা প্রাঙ্গণ। সোমবার ওই প্রাঙ্গণ উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ২০ ও ২১ এপ্রিল অর্থাৎ আগামী সপ্তাহে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার বিশ্ববাংলা প্রাঙ্গণেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রাজ্যের শিল্প সম্মেলন।
সায়েন্স সিটির পাশে প্রায় ২২ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত এই বিশ্ববাংলা প্রাঙ্গণ। ২ লক্ষ বর্গমিটার জায়গায় তৈরি হয়েছে দু’টি বিশালাকার প্যাভিলিয়ন অর্থাৎ, প্রদর্শনী কেন্দ্র। এক একটি দৈর্ঘে প্রায় ১২০ মিটার ও প্রস্থে ৭৩ মিটার। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই মেলা প্রাঙ্গণে অন্তত ৩ মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবেন। প্রাঙ্গণে থাকছে অত্যাধুনিক সুযোগসুবিধা। সায়েন্স সিটির গেটের কাছে তৈরি হয়েছে তিনটি ফুড কোর্ট এবং গাড়ি পার্ক করার জায়গা। যেখানে ১ হাজার ২০০টি গাড়ি রাখা যাবে। তবে এই মেলা প্রাঙ্গণের মূল আকর্ষণ ১৮০ ফুট লম্বা বিশ্ববাংলা টাওয়ার। সায়েন্স সিটির নিকটবর্তী গেট দিয়ে ঢুকলেই টাওয়ারটি চোখে পড়বে। যার মাথায় রয়েছে বিশ্ববাংলা গ্লোব। এই গ্লোব থেকে বিকিরিত লেজার রশ্মি বিশাল চাঁদোয়া তৈরি করবে প্যাভিলিয়নের উপর।
মমতা বলেন, ‘‘মিলনমেলার মেকওভারে খরচ হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। অমিতদা (রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র) আর আমার পরিকল্পনাতেই ২০১৮ সালে নতুন করে এই মেলা প্রাঙ্গণ গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়। কোভিডের কারণে কাজ শেষ হতে একটু দেরি হল। নিউটাউনে বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টার ছিলই। এ বার বাংলার মুকুটে আরও একটি পালক যোগ হল। অটোমোবাইল, এয়ারক্রাফ্ট থেকে শুরু করে যে কোনও প্রদর্শনী বা সম্মেলন করা যাবে এই প্রাঙ্গণে। সমস্ত ধরনের সুযোগসুবিধাই রয়েছে এখানে।’’
২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই মিলনমেলা প্রাঙ্গণকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়। সেই দায়িত্ব পায় শিল্প দফতরের অধীনস্থ ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অর্গানাইজেশন’। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনকে নজরে রেখে সময় মতো শেষ করা হল মিলনমেলা মেকওভারের কাজ। উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী শিল্পপতিদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘গোটা বিশ্বেই তো ব্যবসায়ী বন্ধুরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। আপনারাও সকলকে সঙ্গে নিয়ে বাংলার মাটিতে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করুন। সবাই দেখুক। সবাই বুঝে নিক, বাংলা কত কী করতে পারে! এখানে শিল্পের প্রচুর সম্ভাবনা। এখন আমাদের হাতে অনেক প্রকল্প রয়েছে। তাজপুর বন্দর, ডেউচা-পাঁচামি, ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্ক অনেক কিছু। আমর লক্ষ্য, শিল্প এবং কর্মসংস্থান। আগামী দিনে শিল্প সম্মেলন থেকে আরও শিল্প আসবে।’’
মমতা আরও জানান, আগামী দু’তিন মাসের মধ্যে রাজ্যে আরও একটি ইন্ডোর স্টেডিয়াম গড়ে উঠবে। তার নাম হবে ‘ধনধান্য’। আলিপুরে শঙ্খের আদলে তৈরি হচ্ছে ওই স্টেডিয়াম।