Kumargunj

চার্জশিট চেয়ে রাজপথে ক্ষোভ

কুমারগঞ্জ-কাণ্ডে দ্রুত চার্জশিট পেশ করার দাবিতে আন্দোলনে নামল ছাত্র পরিষদ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২০ ০২:৫৩
Share:

অসন্তোষ: কুমারগঞ্জ-কাণ্ডে দ্রুত চার্জশিট পেশের দাবিতে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে অবস্থান ছাত্র পরিষদের। মঙ্গলবার বালুরঘাটে। নিজস্ব চিত্র

কুমারগঞ্জ-কাণ্ডে দ্রুত চার্জশিট পেশ করার দাবিতে আন্দোলনে নামল ছাত্র পরিষদ। একইসঙ্গে বামেদের ছাত্র, যুব ও মহিলা সংগঠনের নেতৃত্বে জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ হল বালুরঘাটে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ঘণ্টাতিনেক জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে প্রায় একই সময়ে ডান ও বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের আন্দোলনের জেরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় চত্বর ব্যারিকেডে ঘিরে দেয় পুলিশ। কিন্ত তা এড়িয়ে পিছন দিক থেকে ছাত্র পরিষদের কর্মী-সমর্থকেরা এসপি অফিসের সামনে চলে আসেন। পুলিশ তাঁদের আটকে দিলে ধর্নায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।

ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি সৌরভ প্রসাদ এবং জেলা সভাপতি অমিত কর্মকারের নেতৃত্বে ওই আন্দোলনে শামিল ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি তপন দেব, কার্যকরী জেলা সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী, জেলা কংগ্রেস নেতা দিলীপ গুহ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, কুমারগঞ্জের ওই মামলায় সোমবার তফসিলি আইনের ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এ দিন জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানান, ওই ধারা যুক্ত হওয়ায় নিয়ম মেনে মামলার তদন্তকারী অফিসার ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসারকে দেওয়া হয়েছে। মামলায় প্রথমে তদন্তকারী অফিসার ছিলেন কুমারগঞ্জের ওসি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। পরে মামলায় ‘ইলেকট্রনিক্স অ্যাক্ট’ যুক্ত হওয়ায় তদন্তকারী অফিসারের দায়িত্ব পান সিআই সুকুমার মিত্র। এ বার ওই দায়িত্ব দেওয়া হল ডিএসপি বিনোদ ছেত্রীকে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, দ্রুত তদন্ত শেষ করে মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হবে।

এ দিন অবস্থান বিক্ষোভে ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি অভিযোগ করেন, ওই মামলায় বারবার তদন্তকারী অফিসার পরিবর্তন করে চার্জশিট দিতে দেরি করা হচ্ছে। দ্রুত তা জমা দিতে হবে। অন্য দিকে বালুরঘাটে জেলাশাসকের অফিসের সামনে এসএফআই, ডিওয়াইএফ এবং নিখিলবঙ্গ মহিলা সমিতির কর্মী-সমর্থকেরা অবস্থান বিক্ষোভ করেন।

সেখানে নিখিলবঙ্গ মহিলা সমিতির জেলা নেত্রী সুস্মিতা সাহা বলেন, ‘‘কুমারগঞ্জের ঘটনা দেখিয়ে দিল হিংস্রতা কতটা বেড়েছে। তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। প্রমাণ লোপাটে দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ কেন এ ধরণের ঘটনা রুখতে আগাম ব্যবস্থা নিতে পারছে না।’’ প্রশাসনকে জেলা জুড়ে মহিলাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে বলে বিক্ষোভে দাবি ওঠে।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, পরে আলাদা ভাবে ছাত্র পরিষদের তরফে পুলিশ সুপার এবং বাম ছাত্র ও মহিলা সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলাশাসককে স্মারকলিপি দিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement