—ফাইল চিত্র
বগটুই গণহত্যাকাণ্ডের চার্জ গঠন হল বীরভূমের রামপুরহাট মহকুমা আদালতে। প্রায় দু’বছর চার মাস পর এই মামলার চার্জ গঠন করা হল। শুক্রবার আদালতের জেলা অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের এজলাসে এই চার্জ গঠন করা হয়। পাশাপাশি এই মামলায় আগামী ১২ ও ১৩ অগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ ও তথ্যপ্রমাণ পেশের দিনও ধার্য করেছে আদালত। চার্জ গঠনের সময় উপস্থিত ছিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী পার্থ তপশ্রী।
২০২২ সালের ২১ মার্চ রাতে রামপুরহাট থানার ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বগটুই মোড়ে বোমা মেরে খুন করা হয় এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা স্থানীয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৎকালীন উপ-প্রধান ভাদু শেখকে। সেই রাতেই ভাদুর অনুগামীরা বগটুইয়ের বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বলে অভিযোগ। তাতে মৃত্যু হয় ১০ জনের। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে বগটুই হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার পায় সিবিআই। সিবিআই তৎকালীন রামপুরহাট ১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি আনারুল হোসেন-সহ ২৩ জনের নামে প্রথম চার্জশিট জমা দেয়।
আইনজীবীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বগটুই হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের পূর্বে চার্জ গঠনের দিন ছিল গত ২১ জুন। সেই মতো রামপুরহাট দ্রুত নিষ্পত্তি বা ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সন্দীপ কুণ্ডুর এজলাসে ২৩ জন অভিযুক্তের হাজির হওয়ার কথা ছিল। চার্জ গঠন হবে বলে এজলাসে সিবিআইয়ের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরাও। আইনজীবীরা জানান, চার্জ গঠনের দিন মামলায় গ্রেফতার হওয়া আসামিদের মতামত নেওয়া হয়। সেই দিন আদালতে আনারুল হোসেন-২১ জন অভিযুক্ত হাজির থাকলেও বর্ধমান সংশোধনাগারে বন্দি জাহাঙ্গির শেখ ও মফিজুল শেখ নামে দুই অভিযুক্ত ছিলেন না। সেই কারণে চার্জ গঠনের দিন পিছিয়ে গিয়েছিল। ২১ জুন তারিখেই রামপুরহাট আদালতে খারিজ হয়েছিল বগটুই হত্যাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা আনারুলের জামিনের আবেদনও।