ফাইল চিত্র।
দেশে ওমিক্রন বাড়ছে, জানিয়ে রাজ্যকে চিঠি দিল কেন্দ্র। তাতে বেশ স্পষ্ট করেই বলা হল, ওমিক্রন নিয়ন্ত্রণে যেন সব দিক থেকে প্রস্তুত থাকে রাজ্য। ওষুধ থেকে শুরু করে অক্সিজেন সরবরাহ— কোথাও যেন কোনও অভাব না থাকে। কোভিড বিধি পালনে যেন কোনও শিথিলতাকে প্রশ্রয় না দেওয়া হয়। এমনকি ওমিক্রন নিয়ে যাতে কোনও রকম ভুল তথ্য না ছড়ায়, সে ব্যাপারেও রাজ্যকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। চিঠিতে জানিয়েছে, দরকার হলে নিয়মিত ভাবে সংবাদমাধ্যমকে ওমিক্রন-আক্রান্তের সংখ্যা এবং অন্যান্য তথ্য বিশদে জানাতে হবে। ওমিক্রনকে কী ভাবে ঠেকানো যায়, সে ব্যাপারেও সচেতন করতে হবে রাজ্যবাসীকে।
সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। দু’পাতার চিঠিতে ন'টি আলাদা আলাদা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। সেই নির্দেশে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মূলত দু’টি বিষয়ে— ‘সাবধানতা’ এবং ‘সতর্কতা’। চার দিন আগে গত ২৩ ডিসেম্বর দেশের কোভিড পরিস্থিতি যাচাই করার পর এই দু’টি বিষয়েই গুরুত্ব দিতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রসচিবও চিঠিতে এই দু’টি বিষয়কেই গুরুত্ব দিতে বলেছেন রাজ্যকে।
উৎসব এবং বিয়ের মরসুমে রাজ্য এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাস্কহীন জমায়েত চোখে পড়েছে বারবার। স্বরাষ্ট্র সচিব সে ব্যাপারেও সতর্ক করেছেন রাজ্যকে। চিঠিতে লিখেছেন, দেশে সোমবার পর্যন্ত ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৭৮। সে ব্যাপারে উল্লেখ করে অজয় লিখেছেন, দেশের ১৯টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। বিশ্বজুড়ে ১১৬টি দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যকে সতর্ক হতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, রাস্তাঘাটে যেন দৈহিক দূরত্ব বজায় থাকে। এ ছাড়া জমায়েত আটকাতে প্রশাসনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাস্ক পরায় যাতে রাজ্যবাসী কোনও রকম অবহেলা না করেন, সে ব্যাপারেও প্রশাসনকে সতর্ক হতে বলেছে কেন্দ্র।
এ ব্যাপারে প্রশাসনকে মূলত পাঁচটি সতর্কতা মেনে চলতে বলেছে কেন্দ্র। এই পাঁচ সতর্কতা হল— পরীক্ষা, নজরদারি, চিকিৎসা, টিকাকরণ এবং করোনাবিধি পালন। এই পাঁচটি ক্ষেত্রে যাতে কোনও শিথিলতা না থাকে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে প্রশাসনকে। একই সঙ্গে প্রয়োজন পড়লে ভিড় ঠেকাতে রাজ্যে লকডাউনের মতো বিধি বলবৎ করতেও বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব। স্পষ্ট বলা হয়েছে, রাজ্য যেন সব রকম পরিস্থিতির জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখে। অক্সিজেনের সরবরাহ বা ওষুধের সরবরাহে যেন কোনও ঘাটতি না থাকে।