সন্দেশখালিতে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত ইডি। — ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালিকাণ্ডের পর আরও নিরাপত্তা চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে চিঠি দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই আর্জি পূরণ হল। সম্প্রতি রাজ্যে ইডির নিরাপত্তার জন্য আরও এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
ইডির দফতরের সামনে মোতায়েন থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যখন তল্লাশি অভিযানে যায়, তখনও সঙ্গে থাকেন জওয়ানেরা। এ বার ইডির নিরাপত্তার জন্য আরও এক কোম্পানি বাহিনী পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তারা এ বার সামিল হবে অভিযানে। ইডির দফতরের সামনেও আঁটসাঁট হবে নিরাপত্তা।
গত ৫ জানুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত হন ইডি কর্তারা। অভিযোগ, শাহজাহানের ‘অনুগামী’-রা ওই হামলা চালিয়েছিলেন। ঘটনায় আহত হয়েছিলেন তিন ইডি অফিসার। তিন জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। এক জনের আঘাত ছিল গুরুতর। পরে বনগাঁতে প্রাক্তন পুরচেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়েও ইডি আধিকারিকেরা আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সন্দেশখালিকাণ্ডে মোট তিনটি এফআইআর দায়ের হয় ন্যাজাট থানায়। তার মধ্যে একটি এফআইআর করে ইডি। স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে একটি মামলা রুজু করে পুলিশ। তৃতীয় এফআইআরটি করেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়ির কেয়ারটেকার।
সন্দেশখালিকাণ্ডের পর থেকেই সতর্ক হয় ইডি। এর পর রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে যখন তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল ইডি, তখন যথেষ্ট প্রস্তুত হয়েই গিয়েছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা মাথায় হেলমেট পরেছিলেন। হাতে ছিল ঢাল। এ বার সেই বাহিনীর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হল।