অনুপম বসু
রাজ্য সরকার দশ জনের কমিটিতে তাঁকেও বেছে নিয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন এবং জাতীয় শিক্ষানীতি পর্যালোচনার জন্য তৈরি কমিটিতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি), দুর্গাপুরের অধিকর্তা অনুপম বসুকে থাকার অনুমতি দিল না কেন্দ্রীয় সরকার। কিছু দিন আগেই রাজ্যের তরফে দশ সদস্যের ওই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। অন্যদের সঙ্গে সরকার মনোনীত করেছিল অনুপমবাবুকেও।
শিক্ষা শিবির সূত্রের খবর, রাজ্যের ওই কমিটিতে অংশগ্রহণের জন্য অনুমতি চেয়ে অনুপমবাবু কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছিলেন। শুক্রবার পর্যন্ত তিনি সেই অনুমতি পাননি। তাই এ দিন বিকাশ ভবনে ওই নবগঠিত কমিটির প্রথম বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি তিনি। এ দিন বিকাশ ভবনে রাজ্য পাঠ্যক্রম কমিটিরও বৈঠক ছিল। অনুপমবাবু পাঠ্যক্রম কমিটির মেন্টর। তিনি এ দিন সেই কমিটির বৈঠকে যোগ দেন।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে এ দিন শিক্ষানীতি সংক্রান্ত নতুন কমিটি প্রথম বৈঠকে বসে। শিক্ষা প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে স্থির হয়েছে, জাতীয় শিক্ষানীতি পুরোটা খতিয়ে দেখা হবে। যেখানে সমালোচনা করা দরকার, সেখানে তা-ও করা হবে। কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে কি না, পেশাদার অথবা গবেষকদের স্বার্থ লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না— দেখা হবে সবই।
জাতীয় শিক্ষানীতি পর্যালোচনা করে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের পঠনপাঠন নিয়ে মতামত দেবেন রাজ্যের কমিটির সদস্যেরা। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ইঞ্জিনিয়ারিং-সহ বিভিন্ন পেশাদার ও বৃত্তিমূলক শাখায় এখন যে-পঠনপাঠন হয়, তা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ, রাজ্যের নিজস্ব শিক্ষানীতি তৈরির লক্ষ্যে তা খতিয়ে দেখা হবে। যেখানে আরও সামঞ্জস্য আনা দরকার, সেখানে তা আনা হবে। শিক্ষা দফতর এই মতামত একত্র করবে। তার ভিত্তিতে তৈরি হবে বাংলার নিজস্ব শিক্ষানীতি।
নিজস্ব শিক্ষানীতি তৈরি করতে কেরল, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্য ইতিমধ্যেই যে-উদ্যোগ শুরু করেছে, বাংলার সংশ্লিষ্ট কমিটি তা-ও যাচাই করবে। প্রয়োজনে ওই সব রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনাও হবে।
রাজ্যের শিক্ষানীতি সংক্রান্ত কমিটির অন্যতম সদস্যা, আমেরিকার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক শারীরিক অসুস্থতার কারণে এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি। বস্টন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুগত বসু।