জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। — ফাইল চিত্র।
এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের যে কেবিনে ভর্তি রয়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সেখানে বসানো হল দু’টি সিসি ক্যামেরা। বৃহস্পতিবারই এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতার বিচারভবন। সেই নির্দেশ মেনে শুক্রবার এসএসকেএমে সিসি ক্যামেরা বসাতে এসেছিল পুলিশের একটি দল। কেবিনে সিসি ক্যামেরা বসানো হলেও তা এখনও কাজ শুরু করেনি। ইন্টারনেট সংক্রান্ত জটিলতা কাটলেই ওই ক্যামেরা কাজ শুরু করবে বলে জানা গিয়েছে।
বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। রেশন দু্র্নীতি জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। আদালতের নির্দেশে, প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। অসুস্থ বোধ করায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সেখানে তাঁকে সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে রাখার নির্দেশ দেয় কলকাতার বিচারভবন। জেল সুপারকে আদালতের নির্দেশ, নজরদারির ভিডিয়ো ফুটেজ দিতে হবে ইডির তদন্তকারী অফিসারের হাতেও। নির্দেশ মেনে শুক্রবার এসএসকেএমের চার নম্বর কেবিনের ভিতরে বসানো হয়েছে দু’টি সিসি ক্যামেরা। সেখানেই ভর্তি মন্ত্রী। করিডোরে আগে থেকেই ছিল সিসি ক্যামেরা। তাই সেখানে নতুন করে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়নি।
সোমবার রাতে জ্যোতিপ্রিয়কে আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মন্ত্রীকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে মেডিক্যাল বোর্ড। বৃহস্পতিবার আদালতে জ্যোতিপ্রিয়ের আইনজীবী শ্যামল ঘোষ জানান, তিনি জানেন না, তাঁর মক্কেল কেমন আছেন। বালুর বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান তিনি। জানতে চান, মন্ত্রীর কী চিকিৎসা করা হচ্ছে। পাল্টা ইডির আইনজীবীও দাবি করেন, তাঁরাও জানতে পারছেন না, হাসপাতালে কী অবস্থায় রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। পাশাপাশি, বনমন্ত্রীকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতোই ‘প্রভাবশালী’ বলে দাবি করেছে ইডি। সেই কারণে তাঁকে নজরদারিতেও রাখার আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সওয়াল-জবাবের পর আদালত নির্দেশ দিয়েছে, জ্যোতিপ্রিয়কে হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে রাখতে হবে। সেই ফুটেজ ইডির তদন্তকারী অফিসারকেও দিতে হবে বলে জেল সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। আরও নির্দেশ, জ্যোতিপ্রিয়ের স্বাস্থ্য-রিপোর্টও আদালতকে জানাতে হবে। নির্দেশ মেনে আজই বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।