Sandeshkhali Incident

শাহজাহানের ঘনিষ্ঠদের জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে ফের সন্দেশখালিতে সিবিআই! দেখা হচ্ছে ভিডিয়ো ফুটেজ

সন্দেশখালি মামলায় কলকাতা হাই কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাতে হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট। শাহজাহানকে পুলিশের হেফাজত থেকে সিবিআইয়ের হেফাজতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা ও সন্দেশখালি শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৪ ১৭:১৬
Share:

শাহজাহানকাণ্ডের তদন্তে আবার সন্দেশখালিতে সিবিআই। —নিজস্ব চিত্র।

সন্দেশখালিকাণ্ডে ধৃত শাহজাহান শেখের ঘনিষ্ঠ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তার মধ্যেই গত ৫ জানুয়ারি ইডির উপর হামলার অভিযোগের তদন্তে আবার সন্দেশখালি এলাকায় গেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ন্যাজাট থানার অন্তর্গত রাজবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, শাহজাহানকাণ্ডে খবরাখবরের জন্য এই অভিযান।

Advertisement

সোমবারই শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ কয়েক জন নেতাকে তলব করা হয় নিজ়াম প্যালেসে। কলকাতায় সিবিআইয়ের দফতরে ডাকা হয় শাহজাহানের পরিবারের কয়েক জনকেও। সিবিআই সূত্রে খবর, তলব পাওয়া নেতাদের মধ্যে রয়েছেন শাহজাহানের ‘ডান হাত’ বলে পরিচিত সরবেড়িয়া-আগরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জিয়াউদ্দিন মোল্লা। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যেই সিবিআইয়ের একটি দলের সরবেড়িয়া এলাকায় চলে যাওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

গত ৫ জানুয়ারি রেশন মামলার তদন্তে শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। কিন্তু ইডির আধিকারিকদের উপরে হামলার অভিযোগ ওঠে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে। ওই দিনের ঘটনায় জিয়াউদ্দিন-সহ আরও কয়েক জন নেতা সিবিআইয়ের সন্দেহের তালিকায় ছিলেন। সূত্রের খবর, সে দিনের ঘটনায় তাঁদের প্রত্যেকের কী ভূমিকা ছিল, জিজ্ঞাসাবাদে সেটা জানতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকেরা।

Advertisement

অন্য দিকে, সন্দেশখালি মামলায় কলকাতা হাই কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাতে হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট। শাহজাহানকে পুলিশের হেফাজত থেকে সিবিআইয়ের হেফাজতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের আহত হওয়ার ঘটনাতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। এই দুই নির্দেশই সোমবার বহাল রেখেছে শীর্ষ আদালত। তবে হাই কোর্টের রায়ের কিছু অংশ পরিবর্তন করেছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চ জানিয়েছে, রায়ে পুলিশ এবং রাজ্য সম্পর্কে যে পর্যবেক্ষণ রেখেছে হাই কোর্ট, তা বাদ দিতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement