আরও সমস্যা বাড়ল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের? ফাইল চিত্র।
ইডির পর এ বার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে নিতে চাইল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বৃহস্পতিবার আলিপুর জাজেস কোর্টে তারা এই মর্মে একটি আবেদন করেছে। তাতে বলা হয়েছে, এসএসসি দুর্নীতির তদন্তে নেমে বিভিন্ন তথ্য ও প্রমাণের সঙ্গে বার বার পার্থেরই যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। তাই তদন্তের স্বার্থেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থাটি।
এসএসসি নিয়োগে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে গত প্রায় দু’মাস ধরে হেফাজতে রয়েছেন পার্থ। আপাতত তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে। সিবিআই তাদের আবেদনে বলেছে, শুক্রবারই পার্থকে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে আলিপুরের আদালতে হাজিরা দিতে হবে। পার্থকে জেল হেফাজত থেকে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হবে কি না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে সেখানেই।
গত ২৩ জুলাই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তার পর ১৪ দিন ইডির হেফাজতে থাকার পর বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয় পার্থকে। প্রাক্তন মন্ত্রী অবশ্য ইতিমধ্যে বেশ কয়েক বার জামিনের আবেদন করেছেন আদালতে। কিন্তু পার্থের জামিনের সবক’টি আবেদনই খারিজ করেছে আদালত। এমনকি, পার্থ সশরীরে আদালতে হাজির হতে চাইলে সেই অনুমতিও দেওয়া হয়নি তাঁকে। বুধবারই ভার্চুয়াল শুনানি ছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। জামিনের আবেদন করে পার্থ অনুরোধ করেছিলেন, তাঁকে যেন জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। তিনি কোথাও পালিয়ে যাবেন না। বস্তুত, সেই আবেদন করার সময় ভিডিয়ো কনফারেন্সে কেঁদে ফেলতেও দেখা যায় পার্থকে। তার পরও অবশ্য প্রাক্তন মন্ত্রীকে ১৪ দিন জেল হেফাজতেই রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। এর পরই বৃহস্পতিবার পার্থকে হেফাজতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হল এসএসসি দুর্নীতির তদন্তকারী আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই।
শিক্ষা ক্ষেত্রে ‘কেলেঙ্কারি’র অভিযোগে গ্রেফতার পার্থ বিচারককে বুধবারই জানিয়েছিলেন, তিনি অসুস্থ। তাঁকে তিন বেলা ওষুধ খেতে হয়। নিয়মিত চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে তাঁর। তদন্তকারীরা তাঁর বাড়িতে ৩০ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েও কিছু উদ্ধার করতে পারেননি। তার পরেও কেন তিনি জামিন পাচ্ছেন না। তিনি আরও বলেন, জেলবন্দি অবস্থায় তাঁর চিকিৎসা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তিনি বিচার পাচ্ছেন না। প্রয়োজনে পার্থ বাড়িতেও বন্দি থাকতে চেয়েছিলেন। এমতাবস্থায় সিবিআই আবার হেফাজতে চাইল পার্থকে।