CBI

অনুব্রতকে সংশোধনাগারে গিয়ে জেরার দিনে বোলপুর জুড়ে সিবিআই হানা

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বোলপুর জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় হানা দেন সিবিআই আধিকারিকেরা। তদন্তকারীদের একটি দল পৌঁছয় বোলপুরের কালিকাপুরের বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নামে এক ঠিকাদারের বাড়িতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫:২৮
Share:

বোলপুরের বিভিন্ন জায়গায় সিবিআই তল্লাশি। — নিজস্ব চিত্র।

বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে জেরার দিনেই বোলপুরের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)-র আধিকারিকরা। অনুব্রতের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত কয়েক জনের বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। বোলপুরের এক ঠিকাদারের বাড়িতেও যান তদন্তকারীরা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বোলপুর জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় হানা দেন সিবিআই আধিকারিকেরা। তদন্তকারীদের একটি দল পৌঁছয় বোলপুরের কালিকাপুরের বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নামে এক ঠিকাদারের বাড়িতে। তিনি অনুব্রতের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত। বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার ঠিকাদার হিসাবে কাজ করেন রবীন্দ্রনাথ। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না তিনি। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই অধিকারিকরা। রবীন্দ্রনাথের ঠিকাদারি সংস্থার আর্থিক লেনদেন নিয়ে খোঁজখবর নেন সিবিআই আধিকারিকরা।

রবীন্দ্রনাথের বাড়ি থেকে বেরিয়ে তদন্তকারীরা যান কালিকাপুরেরই বাসিন্দা মিহিররঞ্জন রায় নামে এক জনের বাড়িতে। জানা গিয়েছে, মিহির কয়েক বছর আগে এলাকার একটি পুকুরের একাংশ বিক্রি করেছিলেন অনুব্রতকে। গত বছর সেই জমির রেজিস্ট্রি হয়। সেই তথ্য জানতেই মিহিরের বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার সকালেই শান্তিনিকেতনে সিবিআইয়ে অস্থায়ী ক্যাম্পে যান শ্যামলকুমার মণ্ডল নামে এক জন। বোলপুরের ‘ভোলে বোম’ নামে চালকলটি কেনা হয়েছিল এই শ্যামলকুমারের কাছ থেকেই। সেই সময় ওই চালকলের নাম ছিল ‘শ্রীগুরু’ চালকল। সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাওয়া হয় শ্যামলকুমারের কাছ থেকে। পাশাপাশি, নীলাঞ্জন পাণ্ডে নামে এক জনের বাড়িতেও যান সিবিআই আধিকারিকরা। ২০১৬ সালে নীলাঞ্জনের থেকে একটি মুড়ি মিল কেনেন বিদ্যুৎবরণ গায়েন। তিনিও অনুব্রত ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত। সেই সংক্রান্ত নথিও নীলাঞ্জনের কালিকাপুরের বাড়িতে গিয়ে খতিয়ে দেখেন সিবিআই আধিকারিকরা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার অনুব্রতকে আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে ঘণ্টাখানেক জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭টি প্রশ্ন করা হয়েছে অনুব্রতকে। কিন্তু তিনি কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি বলে সিবিআই সূত্রে দাবি। গত কয়েক দিনে অনুব্রত সংক্রান্ত যে সব তথ্য তদন্তকারী আধিকারিকরা পেয়েছিলেন তা নিয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement