Shankar Adhya

শাহজাহানের পর সিবিআই শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতেও, এ বার তদন্তে বনগাঁর সেই ‘সন্দেশখালি মডেল’

বনগাঁয় শঙ্করের বাড়িতে রেশন মামলার সূত্রে দীর্ঘ ১৭ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সে দিন গভীর রাতে শঙ্করকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়। সে সময়ে বনগাঁতেও দেখা গিয়েছিল ‘সন্দেশখালি মডেল’।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৪ ২০:৫৫
Share:

বনগাঁয় শঙ্কর আঢ্য়ের বাড়ির সামনে সিবিআই। — নিজস্ব চিত্র।

রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় ধৃত বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে গিয়েছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার বিকেলে সন্দেশখালিতেও গিয়েছিল সিবিআইয়ের একটি দল। তারা শাহজাহান শেখের বাড়ির সামনে যায় এবং এলাকা পরিদর্শন করে। সন্ধ্যায় বনগাঁয় দেখা গেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আর একটি দলকে। গত ৫ জানুয়ারি গভীর রাতে শঙ্করকে যখন গ্রেফতার করা হয়েছিল, বনগাঁর এই এলাকাতেও দেখা গিয়েছিল ‘সন্দেশখালি মডেল’।

Advertisement

বনগাঁয় শঙ্করের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছিল ইডি। সন্দেশখালিতে যে ভাবে ইডিকে বাধা দেওয়া হয়েছিল, সে ভাবেই বনগাঁতেও ইডির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল। তবে সেখানে কোনও ইডি আধিকারিক মার খাননি।

বনগাঁয় শঙ্করের বাড়িতে রেশন মামলার সূত্রে দীর্ঘ ১৭ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সে দিন রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ শঙ্করকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়। শঙ্করের বাড়ির সামনে সে সময়ে এলাকার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। ইডির গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি, রাতে ইডির গাড়ির উপরে থান ইটও পড়ে। তদন্তকারীদের বাধা দেওয়ার এই প্রক্রিয়ায় বনগাঁতেও সন্দেশখালির ছায়া দেখতে পেয়েছিলেন অনেকে।

Advertisement

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালির ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। শাহজাহান এখন তাদের হেফাজতে রয়েছে। তাঁর বাড়ির সামনে বৃহস্পতিবার গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। বাড়ির চারপাশে তাঁরা ঘোরেন এবং বেশ কিছু ছবি তোলেন। পরে সন্দেশখালির শাহজাহান মার্কেটেও যায় সিবিআই। ইডির উপর হামলার তদন্তের সূত্রেই বনগাঁয় সিবিআই গিয়েছে বলে খবর। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীও। শঙ্করের বাড়ির ভিতরে যাননি তাঁরা। বাড়ির সামনে যেখানে ইডিকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল, সেই এলাকায় যান তদন্তকারীরা। ছবি তুলে, তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়া হয়।

উল্লেখ্য, কলকাতা হাই কোর্ট সন্দেশখালির ঘটনায় মোট তিনটি এফআইআরের তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে। তার মধ্যে দু’টি এফআইআর সন্দেশখালির ন্যাজাট থানার। তৃতীয় এফআইআর ছিল বনগাঁ থানার। বনগাঁয় শঙ্করের বাড়ির সামনে বাধা পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী অফিসারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই এফআইআর করা হয়েছিল। সে বিষয়ে খোঁজখবর নিতেই বৃহস্পতিবার বনগাঁয় গিয়েছে সিবিআইয়ের দল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement