—প্রতীকী চিত্র।
সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার এক শিক্ষক। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বলরামপুরের মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে কর্মরত। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ছাত্রীর পরিবার। অভিযোগ দায়েরের পর থেকে শিক্ষক ‘নিখোঁজ’ ছিলেন। পুলিশের দাবি, তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ১০ জানুয়ারি মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ক্লাসের মধ্যেই ওই শিক্ষক নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ। ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে ঘটনার কথা বাবা, মাকে জানায়। এর পর নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অভিভাবকেরা। বৃহস্পতিবার ভোররাতে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার রানিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন অভিযুক্ত। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে বীরভূমেও গিয়েছিলেন। বিভিন্ন এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ একাধিক জায়গায় ওই শিক্ষকের খোঁজে হানা দিয়েছিল। কিন্তু তাঁকে ধরা যায়নি। সম্প্রতি অভিযুক্তের মোবাইল ফোনের লোকেশন দেখে এবং স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে তাঁকে ধরা গিয়েছে।
ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। নির্যাতিতা কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষা করে তার গোপন জবানবন্দি নিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্ত শিক্ষক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়িতে ওঠার আগে সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ‘‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। কিন্তু কেন এ ভাবে ফাঁসানো হল, বুঝতে পারছি না।’’