—ফাইল চিত্র।
স্কুলে নিয়োগ মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের আতশকাচের নীচে এ বার উপদেষ্টা কমিটি। গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি কর্মী থেকে শুরু করে শিক্ষক নিয়োগ— প্রতি ক্ষেত্রে উপদেষ্টা কমিটির ভূমিকা রয়েছে। এই কমিটির গঠনপ্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়ে স্কুল শিক্ষা দফতরকে চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, সেই চিঠির জবাব এসে পৌঁছেছে নিজাম প্যালেসে।
রাজ্য সরকারি স্কুলগুলিতে প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের বেআইনি নিয়োগের যে অভিযোগ উঠেছে, হাই কোর্টের নির্দেশে তার তদন্ত করছে সিবিআই। দেখা গিয়েছে, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছিল ২০১৮ সালে। পরে তাঁদের সুপারিশেই নিয়োগ হয়।
কে বা কারা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার দু’বছর পর উপদেষ্টা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিলেন, কার নির্দেশে, কাদের নিয়ে উপদেষ্টা কমিটি তৈরি হল, স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে তা জানতে চেয়েছে সিবিআই। এ ছাড়া, ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের নথিপত্র ঠিক আছে কি না, যোগদানপত্র কোথা থেকে দেওয়া হয়েছিল ইত্যাদি তথ্য এবং সেই সংক্রান্ত যাবতীয় নথি চেয়ে পাঠিয়েছিলেন গোয়েন্দারা।
সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের সেই চিঠির জবাব দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। তাদের পাঠানো নথি ঘেঁটে এবং জবাব বিশ্লেষণ করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উপদেষ্টা কমিটির ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত শনিবার কেন্দ্রীয় সংস্থার ডাকে তাদের দফতরে হাজিরা দিয়ে এসেছেন স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রাক্তন প্রধান সচিব। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন তিনি ওই পদে ছিলেন। সূত্রের খবর, কোথা থেকে কী ভাবে নিয়োগ হল, কারা উপদেষ্টা কমিটি গড়লেন, সেই সংক্রান্ত তথ্য তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। স্কুল শিক্ষা দফতরের জবাব বিশ্লেষণ করে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে সিবিআই।
নিয়োগ মামলার তদন্তে যে সব স্কুলে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ, তার একটি জেলাভিত্তিক তালিকা প্রস্তুত করেছে সিবিআই। সেই তালিকা অনুযায়ী, সোমবার তারা কাটোয়ার একটি স্কুলের প্রধানশিক্ষিকাকেও নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।