ভাঙড়ের একটি মাঠে নথিপত্রে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।
ভাঙড়ের মাঠে নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। গোয়েন্দারা পোড়া নথি উদ্ধারের কাজে হাত লাগিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে ভাঙড়ের আন্দুল গড়িয়া এলাকায় একটি মাঠের মধ্যে বেশ কিছু নথিপত্র পুড়তে দেখা যায়। মাঠটি পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা মাঠে নথিপত্র ডাঁই করে রেখেছিলেন। সেখানে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। দেখা যায়, বিশাল এলাকা জুড়ে নথিপত্রে আগুন জ্বলছে। সেগুলি কিসের নথি, কেনই বা তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল, জানা যায়নি।
ভাঙড়ের মাঠে নথিপত্রে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিবিআইয়ের একাধিক গাড়ি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও সেখানে যান। আগুন নিভিয়ে অর্ধেক পুড়ে যাওয়া নথি উদ্ধারের চেষ্টা করেন তাঁরা। বেশ কিছু আধপোড়া নথি উদ্ধার করা হয়েছে।
ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘সিবিআই এসে খুব ভাল করেছে। আমরা চাই তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদ্ঘাটিত হোক। গোয়েন্দারা এসে বিষয়টি দেখছেন, এটা খুব আনন্দের। ওঁরা যে এসে নিজেরাই আগুন নিভিয়ে নথি সংগ্রহ করে তা খতিয়ে দেখছেন, এতে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। আমাদের দিক থেকে যদি কোনও সহযোগিতা ওঁরা চান, আমরা নিশ্চিত ভাবেই সহযোগিতা করব। কে বা কারা কোথা থেকে এই কাগজ নিয়ে এসেছেন, তদন্ত করলেই তা পরিষ্কার হবে।’’
রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইতিমধ্যে একাধিক ব্যক্তিকে তারা গ্রেফতার করেছে। তথ্য, প্রমাণের খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়েছে নানা প্রান্তে। বিভিন্ন প্রভাবশালীর কাছ থেকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। ভাঙড়ে যে নথি সোমবার রাতে পুড়িয়ে দেওয়া হল, তার সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির সম্পর্ক থাকলেও থাকতে পারে, মনে করছে সিবিআই। সেই কারণেই তারা তড়িঘড়ি এলাকায় ছুটে গিয়ে নথি উদ্ধারের চেষ্টা করেছে।