স্নানঘরে মোবাইল ঘাঁটার অভ্যাসে বাড়ছে বিপদ। প্রতীকী ছবি।
সকালে চোখ খোলার সময় থেকে রাতে ঘুমে ঢলে পড়ার আগে পর্যন্ত হাতে থাকে মোবাইল। খাওয়ার সময়, কাজের সময়, সঙ্গীর সঙ্গে একান্ত সময় কাটানোর সময় তো বটেই, এমনকি স্নানঘরেও সঙ্গী হচ্ছে মোবাইল। সকালে ঘুম থেকে উঠে স্বাভাবিক ভাবেই শৌচালয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। অনেকেই সঙ্গে করে সেখানে মোবাইল নিয়ে যান। জরুরি কথোপকথন সেরে নেওয়া থেকে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা— সবই চলছে স্নানঘরে বসেই। স্নানঘরে বসে এই কাজগুলি করে নিতে পারলে সময় হয়তো বাঁচে। কিন্তু এই অভ্যাস শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর নয় একেবারেই। স্নানঘরে মোবাইল ঘাঁটার অভ্যাসে কী কী সমস্যা হতে পারে?
১) শৌচালয় আদতে জীবাণুর আঁতুড়ঘর। সালমোনেলার মতো বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক শৌচালয়ে বেশি মাত্রায় বাসা বাঁধে। স্নানঘরের পরিবেশ তুলনায় আর্দ্র। তার মধ্যে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢুকলে সেই সব অতিসক্রিয় জীবাণু ফোনেও নিজেদের বংশবিস্তার করে। আর তা থেকেই শরীরে বাসা বাঁধে নানা ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ। ডায়েরিয়া, অন্ত্রের অসুস্থতা এবং মূত্রনালির সংক্রমণ হতে পারে। অসুস্থতার ঝুঁকি কমাতে স্নানঘরে মোবাইল নিয়ে না যাওয়াই ভাল।
২) মিনিট দশেকের বেশি কমোডে বসা উচিত নয়। অথচ মোবাইল ফোন হাতে থাকলে আধ ঘণ্টা কিংবা অনেকের ক্ষেত্রে এক ঘণ্টা সময়ও কেটে যায় শৌচাগারে। শৌচালয়ে ফোন নিয়ে যাচ্ছেন মানে, পুরো মনোযোগটাই ফোনের উপর পড়ছে। তাই পেট পরিষ্কার হতে সমস্যা হয়। এর থেকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও শুরু হতে পারে। কমোডে বেশি ক্ষণ বসে থাকলে সংক্রমণের আশঙ্কাও থাকে।
৩) খুব বেশি ক্ষণ কমো়ডে বসে থাকলে আপনার কিন্তু অর্শের সমস্যা হতে পারে। অনেকটা সময় এ ভাবে বসে থাকলে পায়ুদ্বার থেকে রক্তপাতের সমস্যা হতে পারে।
৪) শৌচালয় গেলেই কাজ ও ব্যস্তজীবন থেকে খানিক ক্ষণের বিরতি নেওয়া যায়। সেই সময়ে মন শান্ত রাখাই শ্রেয়। মাথাও খানিকটা বিরতি পায়। তবে ফোন হাতে শৌচালয়ে গেলে মস্তিষ্ক বিরতি পায় না! মানসিক চাপ বাড়ে।
৫) স্নানঘরে ফোন নিয়ে যাওয়ার অভ্যাস শরীরের স্বাভাবিক অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকলাপে ব্যাঘাত ঘটায়। এর ফলে অন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে।