—ফাইল চিত্র।
গরু পাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত ব্যবসায়ী এনামুল হককে মঙ্গলবার আসানসোল জেলে জেরা করল সিবিআই। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন বলে জানান তদন্তকারীরা। এ দিন কলকাতায় নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের আঞ্চলিক দফতরে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফের এক কর্তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
শুক্রবার আসানসোল আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর থেকে এনামুল জেল হেফাজতেই রয়েছেন। তাঁর গরু পাচার চক্রে বিএসএফ, রাজ্য পুলিশ ও শুল্ক দফতরের কিছু কর্তা-কর্মী এবং কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত বলে তদন্তকারীদের অভিযোগ। সিবিআই সূত্রের খবর, এনামুল ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সমানে গরু পাচার করেছেন। বিএসএফ, শুল্ক দফতর, রাজ্য পুলিশের একাংশের সঙ্গে যোগসাজশে ওই পাচার চক্র গড়ে তুলেছিলেন তিনি। ওই ঘটনায় সতীশ কুমার নামে বিএসএফের এক কমান্ডান্টকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। তলব করা হয়েছে আরও বেশ কয়েক জন বিএসএফ-কর্তাকে।
মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪ পরগনা সীমান্তে এনামুলের পাচার চক্র যে-ক’বছর সক্রিয় ছিল, সেই সময় ওই সমস্ত এলাকায় নিযুক্ত বিএসএফ অফিসার-কর্মীদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছে সিবিআই।
সেই জন্য বিএসএফের চার কর্তা-অফিসারকে সোমবার ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সময় চেয়ে চিঠি পাঠিয়ে গরহাজির থাকেন। এ দিন অবশ্য বিএসএফের এক কর্তা সিবিআইয়ের মুখোমুখি হন। সোম ও মঙ্গলবার বেশ কয়েক ঘণ্টার জেরায় এনামুলের কাছে প্রভাবশালী ব্যক্তি ও রাজ্য পুলিশের অফিসারদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হয়েছে। তাঁকে জেরা করে গরু পাচার চক্রের সঙ্গে রাজ্য পুলিশ ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যোগসুত্র খোঁজা হচ্ছে বলে জানান তদন্তকারীরা।