Kolkata Doctor’s Rape and Murder Case

আরজি করে নিয়ে যাওয়া হল নির্যাতিতার পরিবারকে, দুপুর থেকেই হাসপাতালে তদন্ত চলছিল সিবিআইয়ের

আরজি কর-কাণ্ডে প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগ, ঘটনার পর মেয়ের দেহ দেখতে দেওয়া হয়নি। দেহ দেখার জন্য অনেক ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে তাঁদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:৩১
Share:

আরজি করে সিবিআই। — ফাইল চিত্র।

আরজি করের মৃত মহিলা চিকিৎসকের পরিবারকে এ বার আরজি করে নিয়ে যায় সিবিআই। উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরেই সিবিআইয়ের একটি দল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যায়। হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। বিকেলে নির্যাতিতার পরিবারকে আরজি করে নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

আরজি কর-কাণ্ডে প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগ, ঘটনার পর মেয়ের দেহ দেখতে দেওয়া হয়নি। দেহ দেখার জন্য অনেক ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। এ ছাড়াও, পুলিশের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও তুলেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সূত্রের খবর, আরজি করের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নির্যাতিতার পরিবারকে। ঘটনার দিন তারা কী দেখেছেন, কোথায় কোথায় কারা কারা ছিলেন— এই সব বিষয় আরও স্পষ্ট ভাবে জানতেই সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুপুরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যায় সিবিআইয়ের একটি দল। হাসপাতালের অধ্যক্ষ যে বিল্ডিংয়ে বসেন, সেই প্ল্যাটিনাম জুবিলি বিল্ডিংয়ে গিয়েছেন। তার পাশাপাশি, অন্যান্য জায়গাও ঘুরে দেখে তারা। তদন্তের সূত্রে এর আগে বেশ কয়েক বার আরজি করে গিয়েছে সিবিআই। ঘটনাস্থলে থ্রিডি ম্যাপিংও করা হয়েছে। অনেককে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

আরজি কর-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত একমাত্র এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। অভিযোগ, ঘটনার সময় সেখানে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার উপস্থিত ছিলেন। তার একাধিক প্রমাণ মিলেছে বলেও খবর তদন্তকারী সূত্রে। সিবিআই ইতিমধ্যেই তদন্তের স্বার্থে ধৃত-সহ সাত জনের পলিগ্রাফ টেস্ট করিয়েছে। ধৃতের নার্কো পরীক্ষারও আবেদন জানানো হয় আদালতে। তবে ধৃতের অনুমতি না থাকায় বিচার সিবিআইয়ের আবেদন খারিজ করে দেন।

সিবিআই অতীতে এই মামলার তদন্তে একাধিক বার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে। এ বার তাদের আরজি করেই নিয়ে যাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement