—ফাইল চিত্র।
একদিকে মেডিক্যাল কলেজ মামলার সূত্রে কলকাতা হাই কোর্টে যুযুধান দুই বিচারপতি। অন্য দিকে ওই একই মামলায় তদন্ত হবে কি হবে না তা নিয়ে ধন্ধে সিবিআই। হাই কোর্টের ঘনঘন বদলে যাওয়া নির্দেশের সঙ্গে তাল রাখতে না পেরে বৃহস্পতিবার খারিজ হওয়া এফআইআরের কপি নিয়েই আলিপুরের বিশেষ আদালতে পৌঁছলেন এক সিবিআই কর্তা।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে মেডিক্যাল মামলায় বুধবার রাতেই এফআইআর দায়ের করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিয়মমাফিক সেই এফআইআরের কপি নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সিবিআই কর্তা আলিপুর আদালতে পৌঁছে যান। সেখানে গিয়েই শোনেন নির্দেশ বদলে গিয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের মামলার তদন্তভার আর তাঁদের হাতে নেই! দুপুরেই ওই এফআইআর খারিজ করে দিয়েছে সিবিআই। আদালতও বলে, ‘‘এই নিয়ে হাই কোর্টের সর্বশেষ নির্দেশ কী রয়েছে, তা জেনে আদালতকে জানান।’’
রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ভর্তিতে অনিয়মের অভিযোগ সিবিআইকে তদন্ত করে দেখতে বলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন, রাজ্যের পুলিশের উপর আদালতের আস্থা নেই বলেই সিবিআইকে এই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বুধবার দুপুরের সেই নির্দেশ হাই কোর্টের দুই বেঞ্চের টানাপড়েনে বার বার বদলায়। প্রথমে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে মৌখিক স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। আবার সেই স্থগিতাদেশের নির্দেশনামা না পেয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইকে তদন্তে এগিয়ে নিয়ে যেতে বলেন। এফআইআর দায়ের করারও নির্দেশ দেন। সেই মতো বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ মেডিক্যাল মামলার এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। তার পরেই রাতে আবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে এফআইআরটিও খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
অথচ তত ক্ষণে মামলাটির তদন্তকারী অফিসার নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। সেই তদন্তকারী অফিসারই তদন্ত শুরুর আগে এফআইআরের কপি নিয়ে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে জমা দিতে যান। কিন্তু আদালতে উপস্থিত আইনজীবীরা তাঁকে জানান, এফআইআরটি আর বৈধ নয়। আদালতের নির্দেশেও আবার স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।