ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় দ্বিতীয় বার সিবিআইয়ের জেরার মুখে তাঁর বৌদি বাবি কান্দু। সোমবার সকালে ঝালদায় সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে বাবিকে প্রায় দেড় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন ওই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকেরা। তাঁর কাছে কী কী বিষয় জানতে চেয়েছে সিবিআই, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি বাবি। যদিও সূত্রের দাবি, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাবিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকেরা। যদিও জেরার শেষে অস্থায়ী শিবির থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। তাঁকে কী নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল, তা জানতে চাইলেও মুখ খোলেননি বাবি। তবে তপন কান্দুদের সঙ্গে তাঁদের পারিবারিক সম্পর্ক কেমন, সিবিআই আধিকারিকেরা তা জানতে চান বলে সূত্রের দাবি। পাশাপাশি, ব্যাঙ্কের লেনদেন সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদও চলেছে বলে জানা গিয়েছে বলে সূত্রের দাবি। এর আগে ২২ এপ্রিল বাবিকে জেরা করেছিল সিবিআই। তাঁর পাশাপাশি আইসি সঞ্জীব ঘোষকেও তলব করেন সিবিআই আধিকারিকেরা। প্রথম দফায় দুপুর দেড়টা থেকে আড়াইটে পর্যন্ত জেরা চলে। এবং পরের দফায় বিকেল ৪টে থেকে পর্যন্ত তা শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, ১৩ মার্চ বিকেলে খুন হয়েছিলেন ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন। অভিযোগ, ঝালদার গোকুলনগরের কাছে রাস্তায় কয়েক জনের সঙ্গে হাঁটাহাঁটির সময় দুষ্কৃতীরা তাঁকে গুলি করে। তপনের মাথায় ও পেটে গুলি লাগে।
এই খুনের ঘটনার তদন্তভার বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-কে দেওয়া হলেও ৪ এপ্রিল তা সিবিআইয়ের হাতে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চ। ৪৫ দিনের মধ্যে এই তদন্ত শেষ করার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার তপনের দাদা নরেন কান্দু, নরেনের ছেলে দীপক, কলেবর সিংহ এবং আশিক খান নামে দুই দুষ্কৃতী-সহ নরেনের জমিজমা সংক্রান্ত ব্যবসার সঙ্গী সত্যবান প্রামাণিক জেল হেফাজতে রয়েছে। তপন-খুন নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হলেও সিট-এর দাবি ছিল, পারিবারিক বিবাদেই এই খুন। সিট-এর আরও দাবি, সাত লক্ষ টাকার বিনিময়ে কলেবরকে খুন করিয়েছেন তাঁর দাদা নরেন। যদিও সিবিআই তদন্তকে স্বাগত জানিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন নরেনের স্ত্রী বাবি। সূত্রের খবর, তাঁর স্বামী-সন্তান যে এই খুনে জড়িত নন, সিবিআইয়ের কাছে সে দাবিও করে থাকতে পারেন তপনের বৌদি।