Primary Recruitment Case

পার্থদের মামলায় সময়ে নথি সরবরাহ করতে না পেরে আদালতে আবার প্রশ্নের মুখে সিবিআই

প্রাথমিক মামলায় গত ২৭ ডিসেম্বর একটি চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিবিআই। সেখানে পার্থ ছাড়াও অভিযুক্ত হিসাবে নাম ছিল অয়ন শীল এবং সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের। শুক্রবার নথি সরবরাহ করার কথা ছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:৪৪
Share:

প্রাথমিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের মামলায় আদালতে প্রশ্নের মুখে সিবিআইয়ের ভূমিকা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় আদালতে ভর্ৎসিত সিবিআই। ঠিক সময়ে অভিযুক্তদের কাছে প্রয়োজনীয় নথি সরবরাহ করতে পারেনি তারা। এ বিষয়ে আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। কেন দেরি হচ্ছে, তা জানতে চেয়েছেন বিচারক। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও।

Advertisement

প্রাথমিক মামলায় গত ২৭ ডিসেম্বর একটি চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিবিআই। সেখানে পার্থ ছাড়াও অভিযুক্ত হিসাবে নাম ছিল অয়ন শীল এবং সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের। শুক্রবার তাঁদের আইনজীবীদের কাছে নথি সরবরাহ করতে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। কিন্তু সিবিআই নথি দিতে পারেনি। তাদের দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত।

প্রাথমিক মামলাতেই ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চায় সিবিআই। তার জন্য তাঁকে হাজির হতে হবে আদালতে। কিন্তু পর পর চার দিন অসুস্থতার কারণে ‘কাকু’ আদালতে হাজিরা দেননি। শুক্রবার বিচারভবনে সেই বিষয়টি উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ‘কাকু’র আইনজীবী সোমনাথ সান্যাল জানিয়েছেন, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর মক্কেলকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

Advertisement

সিবিআই সূত্রে খবর, পার্থ, সন্তু এবং অয়নের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক প্রমাণ মিলেছে। চার্জশিটে তার উল্লেখ করা হয়েছে। একই মামলায় অভিযুক্ত ‘কাকু’ কিংবা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া এখনও বাকি।

বৃহস্পতিবার আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে বিচারকের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। ওই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের প্রয়োজনীয় অনুমোদন পাওয়ার পরেও আলিপুর আদালতে কেন তা জানানো হয়নি, বিচারক সেই প্রশ্ন তুলে সিবিআইকে শো কজ় করেছেন। অভিযোগ, ট্রায়াল কোর্টকে পাশ কাটিয়ে হাই কোর্টে অনুমোদনের কথা জানিয়েছে সিবিআই। এই নিয়ে পর পর দু’দিন নিম্ন আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় সংস্থার ভূমিকা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement