‘অনুব্রত-ঘনিষ্ঠের’ চালকলে মিলল একাধিক গাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
দীর্ঘ টালবাহানার পর বোলপুরের ব্যোম ভোলে রাইস মিলে ঢুকেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, অনুব্রতের স্ত্রী ও কন্যার নামে রয়েছে এই চালকল। সেই চালকলের ভিতরে ঢুকে মিলল দামি দামি গাড়ি। ঝকঝকে সেই সব গাড়িতে আবার সাঁটানো রয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার’ লেখা স্টিকার। রয়েছে পাইলট কারও। কে এই সব গাড়ির মালিক? তাতে সরকারি স্টিকারই বা কেন লাগানো, তা নিয়েও শুরু হয়েছে তদন্ত।
শুক্রবার সকালে ব্যোম ভোলে চালকলে ঢোকে সিবিআইয়ের একটি দল। যদিও প্রথমে তারা বাধা পায়। নিরাপত্তা রক্ষীরা প্রথমে জানান, গেটের নাকি চাবি নেই! প্রায় ৪০ মিনিট পর অবশ্য তাঁরাই তালা খোলেন। চালকলের ভিতরে প্রবেশ করে সিবিআই আধিকারিকদের চোখ যায় একটি জায়গায়। সেখানে সার দিয়ে একের পর এক ঝকঝকে এসইউভি দেখতে পান তাঁরা। ওই গাড়িগুলির মালিক কে, তা জানার চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। পাশাপাশি, নিরাপত্তা রক্ষীরা কেন আধ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে গেট খোলেননি, সেটাও জানার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, গত দু’মাস ধরে এই চালকলটি বন্ধ রয়েছে। তা সত্ত্বেও এত কর্মী ভিতরে কী করছেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে। এই প্রতিবেদন পর্যন্ত তদন্তকারী দল ওই মিল থেকে বেরোয়নি।
সূত্রের খবর, মোট ৪৫ বিঘা জমির উপর তৈরি এই চালকলটি কেনা হয় ২০১৩ সালে। আনুমানিক ৫ কোটি টাকা দিয়ে চালকলটি কেনেন অনুব্রত। এ-ও জানা যাচ্ছে, ওই চালকল বিক্রি করতে আগের মালিককে এক প্রকার বাধ্য করা হয়। ব্যবসা চালাতে না পেরে বাধ্য হয়েই নাকি কলটি বিক্রি করে দেন তিনি। গরুপাচার মামলায় অনুব্রতের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে সিবিআই এই সম্পত্তির হদিস পায়।